গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬,সাংবাদিকদের জানান ভিকটিম নড়াইল জেলার একটি দরিদ্র পরিবারের একজন সদস্য।

গতকাল ৩১ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী-মোঃ শরিফুল ইসলাম(৩৮), থানা-মহেশপুর, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬,সাংবাদিকদের জানান ভিকটিম নড়াইল জেলার একটি দরিদ্র পরিবারের একজন সদস্য। ভিকটিমের শারীরিক সমস্যার কারনে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বল্প খরচে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যাওয়ার জন্য লোক মারফত আসামীর সাথে পরিচয় হয়। এরই প্রেক্ষিতে আসামী শরিফুল ভিকটিমকে স্বল্প খরচে ভারতে পাঠানোর জন্য গত ২৬ মার্চ ২০২৩ ইং তারিখে মহেশপুর বাজারে আসতে বলে। একই তারিখ বিকেলে আসামী মহেশপুর বাজার হতে ভিকটিমকে নিয়ে একটি বাড়িতে রাখে এবং গভীর রাতে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে।

এরপর আসামী পরিকল্পিতভাবে রাতে ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে মহেশপুর থানায় আসামীর বিরুদ্ধে একটি অপহরনসহ ধর্ষণ মামলা দায়ের করে৷ ঘটনাটি জানতে পেরে র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষণকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে অবশেষে ধর্ষক মোঃ শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেন।