গত মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মাজেদা খাতুনকে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী শহিদুল ও সতিন চম্পা খাতুন।

ঝিনাইদহে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধুকে পুড়িয়ে ও নির্যাতন করে হত্যা মামলায় স্বামী সতীনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। গত মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় মাজেদা খাতুনকে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী শহিদুল ও সতিন চম্পা খাতুন।

মাজেদার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল চার্জশীট দাখিল করে। দীর্ঘ আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালত ওই মামলা রায় ঘোষণা করে। দন্ডিতরা বর্তমানে পলাতক রয়েছে। এদিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মাদক মামলায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।