টাঙ্গাইলের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের জেলা শহরের ছোট কালিবাড়ীতে অবস্থিত বাড়ির তালা ভেঙেঁ শনিবার সকালে ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি প্রায় ২০ জন মানসিক ভারসাম্যহীন(পাগল)নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িটি দখল করেন।এতে জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়,নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।পরে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন শরীফের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করেন।অভিযানে জোয়াহেরের শহরের কালিবাড়ী এলাকার ছয় তলা বিশিষ্ট ভবনটি দখলমুক্ত করা হয়।সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)রুহুল আমিন শরীফ বলেন,এই বাড়ি থেকে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীনদের উদ্ধার করে সন্তোষ বড়ইতলা এলাকায় পূর্বের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং এদের পুনর্বাসনের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।  জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রউশন আরা বলেন, আমাদের কাছে  মিষ্টি ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিল।সেই চাঁদার টাকা না দেয়ায় তারা বাড়ি জবরদখল করেছে।আমি এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করবো।তিনি আরো বলেন, বাড়িটি আমার নামে,আমার স্বামীর নামে নয়। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করছি। উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের বাসায় ঢোকে লুটপাট ও ভাংচুর চালায়।গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর থেকে সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম স্বপরিবারে আত্মগোপনে রয়েছেন।এর আগেও মিস্টির নেতৃত্বে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক,সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের বাড়ি ভাংচুর করা হয়।