বেশ কয়েকদিন ধরেই ডিম নিয়ে বিভিন্ন নাটক দেখেছে দেশের মানুষ। বিভিন্ন অজুহাতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল ডিমের দাম। আমদানি ও আমদানি শুল্ক ছাড়ে ডিমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও এবার মুরগির বাজারে অস্বস্তি শুরু হয়েছে।শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জের তাড়াইল বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।কয়েকদিন আগে খুচরা পর্যায়ে প্রতিডজন ডিমের দাম ছুঁয়েছিল ১৮০-১৮৫ টাকা পর্যন্ত। সবশেষ ডিম আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস করার পর ডিমের দাম কমেছে। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম খুচরা পর্যায়ে ১৫৬-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে প্রতি ডজন ডিম ১৪৪ টাকা ও হালি ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রির চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সরবরাহ ঠিক থাকলে খুব অল্প সময়ে দাম আরও কমে আসবে।সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, বাজারে মাছ-মুরগির দাম আগে থেকেই লাগামহীন। এখনও প্রতি ডজন ডিমে গুনতে হচ্ছে দেড়শ টাকার বেশি। প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর পণ্যটিও এখন অনেকের নাগালের বাইরে; আর আমিষের তো কথাই নেই।নুরুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, মাছ-মাংস কিনতে গেলে মাস পার করা সম্ভব হয়না। এখন ডিমের দামও অনেক চড়া। এতে প্রোটিনের চাহিদা মেটাতেও আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছ।বাজারঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০-২০০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। আর সাদা লেয়ার ২৫০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়।বিক্রেতাদের ভাষ্য, বাজারে মুরগির সরবরাহ কমেছে। তাছাড়া, মুরগির ফিড ও বাচ্চার দাম বাড়ায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদনব্যবস্থা, যার প্রভাব পড়ছে বাজারেও।তাড়াইল বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী রোমান জানান, এখন আর আগের মতো মুরগি আসছে না। সেই সঙ্গে পাইকারিতে দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে এসেও।এক ক্রেতা বলেন, বাজারে এখন ডিম ও মুরগির দাম অনেক চড়া। সরকারের অভিযানেও কাজ হচ্ছে না। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট অনেক শক্ত। কঠোর আইন প্রয়োগ না হলে এ সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।