আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি এখনো। ঘোষণা করা হয়নি নির্বাচনের তারিখও। যদিও অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের শেষের দিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন। এ অবস্থায় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ১৪ আসনে বিএনপি-জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। এর মধ্যে একটু বেশি সক্রিয় জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য একক প্রার্থী ডাক্তার শাহাদাৎ হোসেন।
যদিও চট্টগ্রামের ১৪ সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য একক প্রার্থীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে অনেক আগেই।
গতকাল উপজেলা পর্যায়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাধারণ মানুষের ভাষ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে বেশ তৎপরতা চালাচ্ছেন।
সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম এবং ২০০৮ সালের বিএনপির প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, শহীদ জিয়া সংসদ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী।
এই বিষয়ে চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইফতেখার হোসেন বলেন, সিটি মেয়র ডাক্তার শাহাদাত হোসেন চন্দনাইশে তৃণমূল পর্যায়ে সবার কাছে পরিচিত নাম, বীর চট্টলার গণমানুষের প্রিয় মানবিক চিকিৎসক ও নগর সেবক জননেতা ডা. শাহাদাত হোসেন শত ব্যস্ততার মাঝেও
চন্দনাইশের মানুষের জন্য সাপ্তাহিক ১ দিন করে চট্টগ্রামে তিনি সময় দেন। পাশাপাশি চট্টগ্রাম ১৪ আসন নিয়ে ডাক্তার শাহাদাত হোসেনের বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ইফতেখার হোসেন।