অবরোধ চলাকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
বুধবার (২৭আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে শাহবাগ মোড়ের সড়কে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন তারা। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় শাহবাগ ও এর চারপাশের সড়ক গুলো। এতে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট।
এসময় বাংলামোটর থেকে শাহবাগ দিয়ে হাইকোর্ট গামী যেসব বাস চলাচল করে, সেগুলো শাহবাগ মোড়ে এসে দাঁড়িয়ে গেছে। এছাড়াও এলিফ্যান্ট রোড থেকে শাহবাগ হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি সমূহ :
১) ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিধারী হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনও পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২) টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারী উভয়ের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
৩) ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসস ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা গত ছয় মাস যাবত তাদের দাবি জানিয়ে এলেও সরকার এসব দাবি পূরণে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সময় ক্ষেপনের মাধ্যমে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। বিভিন্ন দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও কোন প্রকার সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। সরকারের এমন দায়িত্বহীনতার কারণেই শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে।
রংপুরে এক প্রকৌশলীকে আটকে রেখে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে, হুমকিদাতাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এটা তাদের প্রথম দাবি। এছাড়াও আগে থেকে তারা যে তিন দফা দাবি জানিয়ে আসছেন সেগুলো মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।