মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০ ঘটিকায় উপজেলা চত্ত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব, মোঃ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও পৌর কমিশনার মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপস্থিত থাকা বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং মহা-বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য সম্পর্কে বর্ণনা করেন জাতীয় সংসদের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি জনাব, এডভোকেট মোঃ শহীদুজ্জামান সরকার (এম.পি) বলেন, অনেক লড়াই, আন্দোলন, সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে আমার বাংলাকে মাতৃভাষা হিসাবে পেয়েছি। বাংলা ভাষার জন্য আমারা হারিয়েছি মা, বাবা ভাই ও বোন।
মনে করতে হবে রফিক, সালাম, বরকত, জাব্বার তারাই আমাদের আপনজন। তাদেরকে আমরা সব সময় শ্রদ্ধা করব । তাদের জীবন কাহিনী অন্যদের মাঝে তুলে ধরব। এভাবেই আমাদের বাংলা ভাষার প্রতি ও শহিদের প্রতি সকলের সন্মান বেড়ে যাবে; যা আমি মনে করি। বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব, মোঃ নুরুজ্জামান হোসেন বলেন, আমি নিজে যুদ্ধ করেছি দেশের জন্য, নিজের চোখের সামনে আমার ভাইদেরকে মরতে দেখেছি। ক্ষত-বিক্ষত হয়ে পড়ে ছিল তাদের লাশ। এই দৃশ্য এখনও আমার চোখে ভেসে ওঠে। আমার আমার হাত ও পা এখনো শিড়-শিড় করে উঠে । আমার রক্ত টগবগ করে ওঠে । আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারি না। আল্লাহ্ তায়ালার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া যে তিনি আমাকে এখন পর্যন্ত বেঁচে রেখেছেন । তিনি আরও বলেন, তোমরা শিক্ষার্থীরা যখন আমাদেরকে চাচা/মামা বলে না ডেকে আংকেল করে ডাক দাও তখন আমার অন্তরে আঘাত লাগে।
“আমি কি এই ভাষার জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করেছি”? সর্বশেষ তিনি সকলের কাছে তার এবং সকল শহিদের বিদেহী আত্নার মাফতিরাত কামনা করে দোয়া চেয়েছেন।এরপরে দুপুর সাড়ে বারোটায়, মহান শহিদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়া রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্র অংকন, নান্দনিক লেখা ও গজল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মাঝে সর্বমোট ১২ টি বই বিতরণ করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আহাজার আলী মন্ডল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ দেলদার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, সহ- প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক তমা আকতার, ধামইরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হক কাজী, উপজেলা কৃষি অফিসার তৌফিক আল জোবায়ের, মধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আজমল হোসেন, একাডেমিক সুপারভাইজার কাজল কুমার, যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ কারুজ্জামান, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছাবিনা ইয়াসমিন, সফিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহমান, চকময়রাম সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম খেলাল-ই- রাব্বানীপ্রমুখ সহ শীল্পকলার শিল্পী-সদস্য ও সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তাবৃন্দ।