নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে মাত্র ৩দিনে নারীসহ প্রায় দশজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে মাত্র ৩দিনে নারীসহ প্রায় দশজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার (০২ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ কবির। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলছেনা জলাতঙ্কের টিকা। এ ঘটনায় বেশ আতঙ্কে রয়েছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। আহতরা হলেন শিববাটী গ্ররামের বিউল আলম সুইট, ঘাসিপুর গ্রামের আবদুল লতিফ, পূর্ব চক শরিফের রেজিনা আক্তার, দয়ালের মোড়ের  মো. মেসবাউল, গাংরা গ্রামের মাইমুনা বেগম, পশ্চিম চক শরিফের আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, শালুককুড়ি গ্রামের আবদুস সালাম সহ আরও অনেকেই। আহতরা প্রত্যেকে আলমপুর ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা। এদের মধ্যে তিন জনের  অবস্থা বেশ গুরুতর হলে তারা বর্তমানে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয়রা কয়েকজন জানান, তারা বাড়ি থেকে বের হলে কয়েকটি শিয়াল সংঘবদ্ধ ভাবে তাদের উপরে আক্রমন করে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে দ্রুত তারা পালিয়ে যায়। এভাবে বেশ কয়েকজনকে কামড় দেয় শিয়ালগুলো। এ ঘটনার পরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে বাড়িতে থাকা ছোট বাচ্চা ও বৃদ্ধদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে পরিবার। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে সেখানে মিলছেনা জলাতঙ্কের টিকা। বর্তমানে শিয়ালের আক্রমণে আহতরা সবাই পাশ্ববর্তী জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন।

এ বিষয়ে আহত আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার ভোরে বাড়ির পাশে একটি শিয়াল তার হাতে কামড় দেয়। সে গুরুতর আহত হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জয়পুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সে সুস্থ্য রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জহুরুল ইসলাম টগর বলেন, সরকারি ভাবে আমরা জলাতঙ্ক টিকা তেমন পাইনা। নিজস্ব তহবিল, পৌরসভা ও সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে কিছু টিকা আমরা সংগ্রহ করে থাকি। বর্তমানে শিয়াল ও কুকুরের অত্যাচার বাড়তে থাকায় আমরা চাইলেও আহত ব্যক্তিদের টিকা প্রদান করতে পারছিনা। টিকার জন্য উপজেলা স্বস্হ্য কমপ্লেক্সের নিজস্ব তহবিল, সমাজসেবা অধিদপ্তর, পৌরসভার উপর নির্ভরশীল হওয়ায় প্রয়োজন মাফিক তা সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

আহতদের অনেকেই গরীব ও খেটে খাওয়া মানুষ তাদের টিকাগুলো কিনতে হচ্ছে। এতে করে তারা আর্থিক অসুবিধায় পড়েছেন। পরবর্তী টিকা দেওয়ার ব্যয়ভার নিয়ে অনেকেই চিন্তিত।এমতাবস্থায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।