সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নওগাঁ সদর বোয়ালিয়া ও তিলেকপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোমেনা খাতুন এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য, নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নওগাঁ সদর বোয়ালিয়া ও তিলেকপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোমেনা খাতুন এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য, নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘঠনায় জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন একাধীক ভূক্তভোগী পরিবার।ভুক্তভোগীদের অভিযোগ ও একাধিক সূত্রের তথ্য মতে জানা গেছে, উপজেলার বোয়ালিয়া ও তিলেকপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোমেনা খাতুন যোগদানের পর থেকে তিনি সেবা নিতে আসা লোকজনের কাছ থেকে নামজারি, দাখিলাসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেয়ার কথা বলে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছেন। এমনকি তিনি টাকা নিয়েও ঠিকমতো কাজ করছেন না বলে ভূক্তভোগীদের দাবি। অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী মিম আক্তার বলেন, আমার শাশুড়ীর জমি নাম জারি আবেদন করে কাগজপত্র জমাদিতে গেলে মোমেনা খাতুন আমার কাছে ৮হাজার টাকা চায়, আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়াতেই তিনি আবেদনটি নামঞ্জুর করে দেয়। আরেক অভিযোগকারী মাহবুব রহমান রাজ বলেন, ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোমেনা খাতুনের ঘুষ বানিজ্য ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোন কাজ হয়নি। তাই আমরা তার দ্রুত অপসারন চাই। মোমেনা খাতুনের এই অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা নতুন নয়। তার বিরুদ্ধে গত (০২ অক্টোবর) দাবী মৌলিক সংস্থার ৩৮ শতাংশ নাম জরি খাজনায় মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে নামজারি ছাড়াই ৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৪১ শতাংশ করে খাজনা নেওয়ার অভিযোগে। জাতীয় দৈনিক জনবানী পত্রিকা সহ দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় "নওগাঁয় জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করে খাজনা নেওয়ার অভিযোগ" এই শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হয়েছে তারপরও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেইনি ভূমি প্রশাসন নওগাঁ।অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোমেনা খাতুন এর কাছে ঘুষ বানিজ্যের বিষয়টি যানতে চাইলে তিনি ব্যস্থ আছেন, এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি নয়। এ ব্যাপারে সদর ভূমি অফিসার খান সালমান হাবিব বলেন,  ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোমেনা খাতুন বিরুদ্ধে ঘুষ কেলেঙ্কারি ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ এখনো পাইনি লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগের অভিযোগ এর বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি আরো বলেন, আগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়েছে এখনো তদন্ত চলমান রয়েছে তদন্তে সে দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।