চারিদিকে সবুজের সমরোহ। তারমধ্যে উকি মারছে সূর্যমুখি। সূর্যমুখি অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে। গোটা এলাকা বসন্তের এ মনোরম পরিবেশে সবুজ, হলুদের আভায় মুখরিত। লাল শাক ও ডাটা শাক লাল-সবুজের গালিচা বিছিয়ে দিয়েছে। সেই সাথে আর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, ওলকপি ও শিমের প্রচুর্যতা শেষ হয়েছে। এখন সেখানে ঢেঁড়শ, পুইশাক, করলা, শশা, চিচিঙ্গা ও মিষ্টি কুমড়া আবাদ শুরু হয়েছে। আঙ্গিনায় রয়েছে আম্রপালী, কিউজাই, ব্ল্যাক স্টোন, গৌড়মতি, সূর্যডিম, বারি আম-৪, বারি আম-১১ জাতের আমগাছ। এ ভাবেই শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাশে কৃষি অফিসের আঙ্গিনা কৃষি খামারে পরিণত হয়েছে।নকলা পৌরসভাধীন চরকৈয়া গ্রামের কৃষক ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমি উপজেলা কৃষি অফিসের আঙ্গিনার শাক-সবজি চাষাবাদ দেখছি। এখানে বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি উৎপাদন করা হচ্ছে।
সবজি উৎপাদনে অর্গানিক সার ও জৈব বালাই নাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। সবজির ফলনও ভালো। তাই ভবিষ্যতে আমরা এ সবজির আবাদ বৃদ্ধি করব। কুর্শা গ্রামের কৃষক লিয়াকত বলেন, কৃষি অফিসের আঙ্গিনা সবুজে সেঁজেছে। সেই সাথে এখানে শাক-সবজি ফলানো হচ্ছে। বাইরে থেকে একটি আদর্শ কৃষি খামারের মতো দেখা যাচ্ছে। শাক-সবজির চাষ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমিও আমার বাড়ির আঙ্গিনার পতিত জমিতে শাক-সবজির আবাদ করব।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইঞ্চি জমিও পরিত্যাক্ত না রেখে ফসল আবাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে আমরা এখানে মানব দেহের জন্য নিরাপদ ও বিষ মুক্ত শাক-সবজি উৎপাদন শুরু করি। তখন লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, ওলকপি, সরিষা, ডাটা, সূর্য্যমুখী ও শিমের আবাদ করি। ওই সব ফসল সংগ্রহ করা প্রায় শেষ হয়েছে।
আমাদের ক্যাম্পাসে এ মুহুর্তে সূর্যমুখি, লাল শাক,ডাটা শাক রয়েছে। চাষাবাদ করা হয়েছে। এখন ঢ্যাড়শ, পুইশাক, করলা,শশা,চিচিঙ্গা ও মিষ্টি কুমড়া আবাদ শুরু হয়েছে। এখানে উৎপাদিত শাক-সবজি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা খাচ্ছেন। নিরাপদ এসব শাক-সবজি খেয়ে তারা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছেন। শাক-সবজি, ফুল ও বৃক্ষরাজিতে কৃষি অফিসের ক্যাম্পাসটি এখন মুখরিত। শেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের আঙ্গিনা শাক-সবজি উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। এখানে উৎপাদিত সবজি নিরাপদ। এটি খেয়ে ওই অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুষ্টির চাহিদা পূরণ করছেন। এতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষির জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এটি অনুকরণ করে সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া ওই এলাকার অনেক কৃষক বিষমুক্ত নিরাপদ শাক-শবজির চাষাবাদ গ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।