মোট ৫৮ পরিবারের মধ্যে ১২ শহীদ পরিবারের সদস্য এবং ৪৬ আহত পরিবারের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দেওয়া হয়। এ উদ্যোগকে অতিথিরা শুধুই উপহার নয়, বরং আত্মনির্ভরশীলতার নতুন সম্ভাবনা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব রাশেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী প্রকৌশলী নূর ই ইলহাম।
প্রধান অতিথি বলেন—“জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন, তারা আমাদের গণতন্ত্রের ইতিহাসে অমর। তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো জেলা পরিষদের নৈতিক দায়িত্ব। সেলাই মেশিন শুধু সহায়তা নয়, এটি হবে পরিবারের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জনের এক হাতিয়ার।”
সেলাই মেশিন হাতে পেয়ে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকেই জানান, এ সহায়তা তাদের জীবনে নতুন আশার আলো যোগ করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন—“শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। তাঁদের ত্যাগকে স্মরণ করে সমাজে ন্যায়, সাম্য ও মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
জেলা পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও উপকারভোগীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক মিলনমেলায়।