উপজেলা প্রানী সম্পাদ অধিদপ্তর সুত্র জানা গেছে , উপজেলার প্রায় ১২ হাজার ১০৩ টি গরু এবং ১০ হাজার ১৭৭ টি ছাগল ঘুর্নিঝড় রিমালে আক্রান্ত হয়েছে। আর এই সব গরু ছাগল আসন্ন কোরবানি জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এছাড়া ১ লক্ষ ৮০ হাজার মুরগী এবং ২৫ হাজার টি হাসঁ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭০০০০ টি মুরগী এবং ২ হাজার হাসঁ মারা গেছে।এছাড়াও ৫টি গরু ও একটি ছাগল মারা গেছে।

পিরোজপুরের নাজিরপুরে ঘুর্নিঝড় রিমালে তান্ডবে প্রায়  ৫৮কোটি  টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।  উপজেলার বিভিন্ন দফতরের তথ্য  অনুযায়ী   প্রাথমিক ভাবে এমন ধারনা পাওয়া গেছে।তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে  মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ খাতে।

জেলার  নাজিরপুর উপজেলা মৎস্য কার্যলয় সুত্রে জানা যায়, ঘুর্নিঝড় রিমালে কারনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়  ৪২০০পুকুর ও ১২০০মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে।   আর এই সব মাছের ঘের থেকে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী  প্রায়  ২০ কোটি ৫০ লাখ  টাকার ক্ষতি হয়েছে । 

উপজেলা প্রানী সম্পাদ   অধিদপ্তর সুত্র জানা গেছে , উপজেলার  প্রায় ১২ হাজার ১০৩ টি গরু এবং ১০ হাজার ১৭৭ টি ছাগল ঘুর্নিঝড় রিমালে আক্রান্ত হয়েছে। আর এই সব গরু ছাগল আসন্ন কোরবানি জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। এছাড়া ১ লক্ষ ৮০ হাজার মুরগী এবং ২৫ হাজার টি হাসঁ আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৭০০০০ টি মুরগী এবং ২ হাজার হাসঁ মারা গেছে।এছাড়াও ৫টি গরু ও একটি ছাগল মারা গেছে। 

উপজেলার দেউলবাড়ি ইউনিয়নের  নাইম হাওলাদার জানান,  তার  পাচঁ একর জমির উপর মুরগীর ফার্ম এবং মাছের ঘের ছিল।  তার মুরগীর ফার্মে ২৮০০   শত মুরগী ছিল। ঘুর্নিঝড় রিমালে পানির নিম্ন চাপে তার ৮ শত মুরগী মারা গেছে আর  মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা মাছ বের হয়ে গেছে বলে তিনি জানান। 

একই ইউনিয়নের মোঃনেয়ামত উল্লাহ গাজী বলেন,আমার ঘেরটি ঘূর্ণিঝড় রিমালে তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় দশ লাখ টাকার মাছ বের হয়ে গেছে। এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। কিভাবে এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠবো।

নাজিরপুর উপজেলা সিনিয়র  মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান, উপজেলায় ১২ শত  মাছের ঘের ও ৪ হাজার ২শত পুকুর   পানিতে তলিয়ে গেছে আর এতে প্রায় ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃতরিকুল ইসলাম জানান,এ উপজেলায় প্রাণিসম্পদ খাতে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।