বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত ইকবাল হোসাইন অফিস শেষে বের হয়েছেন ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত ইকবাল হোসাইন অফিস শেষে বের হয়েছেন ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে। গন্তব্যে পৌঁছাতে বেছে নিয়েছেন সিএনজি।
হঠাৎ মোটর সাইকেল নিয়ে এসে চলন্ত সিএনজি থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে হাতে থাকা মোবাইল।
কক্সবাজার শহর জুড়ে এখন ফের বাড়ছে ছিনতাই। শহরের প্রবেশদ্বার লিংকরোড়-বাস টার্মিনাল, বাইপাসসহ বিভিন্ন এলাকার অলিগলি পেশাদার ছিনতাইকারীদের অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণে চলে। প্রতিদিনই তাদের হাতে সর্বস্ব হারাচ্ছেন পর্যটক ও স্থানীয়রা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত ইকবাল হোসাইন নামের এই ভুক্তভোগী বলেন, অফিস শেষে সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে বাইক নিয়ে ছিনতাইকারীরা সিএনজি থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন, বাইকের গতি বেশি হওয়ায় সিএনজি নিয়ে তাড়া করেও কোনো লাভ হয়নি। দীর্ঘদিনের কর্মজীবনে কক্সবাজারে এমন অভিজ্ঞতা প্রথম বলেও জানান এই ভুক্তভোগী।
নিয়মিত ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ, এতে এক অন্যরকম আতংকে দিনাতিপাত করছেন পেশাজীবিরা।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইলিয়াস খান বলেন, নিয়মিত পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে। বেশকিছু ছিনতাইকারীদের ইতিমধ্যে আটক করেছে সদর থানা পাশাপাশি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের অলিগলিতে পুলিশের টহল নিয়মিত অব্যাহত আছে। তবে কতজন আটক হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন ‘পরিসংখ্যান দেখে বলতে হবে।’
কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান সড়ক ও এর আশাপাশ ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সড়কবাতিই নষ্ট। সন্ধ্যা হলেই শহরজুড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার নেমে আসে। রাত ১২টার পর দোকানপাট বন্ধ হলে আরও অন্ধকার হয়ে যায় চারপাশ। তখন ছিতাইকারীর দখলে চলে যায় শহর এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। অতি সম্প্রতি যেভাবে ছিনতাই হচ্ছে স্থানীয় লোকজন বলতেছে এখন তারা এক চলাফেরা করতে ভয়ে থাকেন সবসময়, বিশেষ করে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীদের চলাফেরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।