নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে রাজুল্যাপুর জামে মসজিদের নতুন ভবন নির্মাণ কে কেন্দ্র করে কমিটির সহকারী হিসাব রক্ষক আব্দুল কাদেরসহ মুসল্লীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে  ভুক্তভোগী বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।  

অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের রাজুল্যাহপুর জামে মসজিদের মুসল্লীদের মতামতের ভিত্তিতে পুরাতন মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদ ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মসজিদ কমিটি। কিন্তু নির্মাণাধীন জায়গায় কবরস্থানের জায়গা পড়ার অভিযোগ তুলে ১৬মে দুপুরে আবু হানিফ নামে একজন মুসল্লী নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার প্রস্তাব করলে মসজিদের সহকারী হিসাব রক্ষক আব্দুল কাদের তার বক্তব্য ভিডিও করলে আবু হানিফের ছেলে ফয়সাল ইনাম কমলের নেতৃত্বে তার পিতা আবু হানিফ, তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাজিব, জিয়াউল হক ফয়সাল ইনাম কমলের ছেলে কাহালুল ইবনে কাব্যসহ ১৪জন মিলে ভিকটিমকে অতর্কিত এলোপাতাড়ি হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ সময় মারধরে বাধা দিলে ফয়সাল ইনাম কমলের ছেলে কাহালুল ইবনে কাব্য, আবুল খায়েরের  ছেলে মাহবুব হাসান বাহার নামে আরেক মুসল্লিকে গলা টিপে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহতরা নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। 
অভিযুক্তরা মারধর করে যাওয়ার সময় মসজিদের নির্মাণ কাজ করতে চাইলে,  তাদের ১কোটি টাকা দিতে হবে বলে চাঁদা দাবি করার  অভিযোগ উঠেছে। 
ফয়সাল ইনাম কমল ও আবু হানিফ বলেন, তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট, চাঁদা দাবির বিষয় ভিত্তিহীন। মসজিদের অনেক জায়গা থাকার পরও কবরস্থানের কিছু অংশে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ কাজ শুরু করায় মুসল্লীরা জানতে চাইলে এ বানোয়াট অভিযোগ করে তারা।
এব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান বলেন, ঐ মসজিদের মুসল্লীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। মসজিদ নিয়ে মারামারি হয়েছ কথা সত্য। আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করি। ঐ মসজিদ নির্মাণে দুই চেয়ারম্যানের বিরোধ, আমি কবরস্থানের ওপর মসজিদ নির্মাণের বিষয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশনের মতামতের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নিবো এবং এ বিষয়টি নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কাছে জানিয়েছি।