নড়াইল জেলার একমাত্র ১০০ শয্যার সদর হাসপাতালটি বর্তমানে চরম সেবা সংকটে ভুগছে। চিকিৎসক সংকট ।প্রয়োজনীয় ওষুধের অভাব। স্বাস্থ্যকর্মী স্বল্পতা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থার দুর্বলতায় সাধারণ রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

হাসপাতালটির প্রতিদিনের গড় রোগীসংখ্যা প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ জন হলেও চিকিৎসা সেবা দিতে পারছেন না পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক। ফলে বহু রোগীকেই চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে অথবা বেসরকারি ক্লিনিক ও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে।

হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী শাহানা কামাল  জানান, “সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, এখন দুপুর ১টা। ডাক্তার এখনও দেখি নাই। ওষুধও ঠিকমতো দেয় না।”

হাসপাতালের ওয়ার্ডগুলোতেও একই অবস্থা। কোথাও কোথাও শয্যার তুলনায় রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ায় মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। শিশু ও নারী ওয়ার্ডে জায়গার অভাবে রোগীদের করিডোরে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

হাসপাতালের এক চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমাদের হাতে প্রতিদিন অনেক রোগী। ডাক্তার কম, নার্স কম, ওষুধের জোগানও অনিয়মিত। এসব কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।”

এদিকে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলছে, সংকট মোকাবেলায় বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। অতিরিক্ত চিকিৎসক ও প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

নড়াইল জেলার সাধারণ মানুষ এই হাসপাতালে নির্ভর করে চিকিৎসার জন্য। এমন অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জেলার স্বাস্থ্যসেবা আরও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।