বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় ঘোষিত ৬ দফা দাবির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশের মতো নরসিংদীর বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য পরিদর্শকেরা অংশগ্রহণ করেন।
রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আয়োজিত কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন আশরাফুল ইসলাম, কামরুন্নাহার, জুয়েল ভৌমিক, লোকমান হোসেন, মোমেন মিয়া, দিদার হোসেন, তাজিন ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “দেশের প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে আমরা মাঠপর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অথচ আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি—পদমর্যাদা বৃদ্ধি, টেকনিক্যাল মর্যাদা প্রদান, এবং সময়োপযোগী বেতন কাঠামোর বাস্তবায়ন এখনো ঝুলে আছে।”
তারা আরও বলেন, “স্বাস্থ্য সহকারীরা দেশের ১ লক্ষ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে ইপিআই কর্মসূচির আওতায় ১৩টি মারাত্মক রোগের টিকাদান, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, মহামারী প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তবুও সরকারি অবহেলার কারণে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা আজও অধরা।”
বক্তারা সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব স্বাস্থ্য সহকারী কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৫ মে রাজধানীর ঢাকা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটি আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। তবে কর্মসূচি চলাকালে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা চালু থাকলেও, নিয়মিত কার্যক্রমের আওতাভুক্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
