পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ মামলায় ছেলে ও বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ মামলায় ছেলে ও বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে মাদ্রাসার ছাত্রী মা বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় ছেলে ও বাবাকে বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেলে উপজেলার ঘোষেরহাট বাজার থেকে দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ বলে জানান ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন। 
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, রিদয় গাজী (২৫) উপজেলার ঘোষেরহাট এলাকার দুলাল গাজীর পুত্র। অপর আসামী দুলাল গাজী (৫০) একই এলাকার রহমান গাজীর পুত্র। রিদয় গাজী পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। 
ওই ছাত্রী উপজেলা ঘোষেরহাট বিজিএস মহিলা দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়,উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের দুলাল গাজীর ছেলে রিদয় গাজী একেই এলাকার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীকে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। এরপর গত ২২ জানুয়ারি ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার সামনে থেকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলায় তার খালাবাড়িতে নিয়ে রাখে রিদয় গাজী। পরে রিদয় গাজী মাদ্রাসার ছাত্রীকে ওই বাড়িতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ওই ছাত্রীকে রিদয় গাজী তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর ছেলের বাবা দুলাল গাজীর সহযোগিতায় নিজ বাড়িতে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। 
মামলার বাদী হাজের বেগম জানান, জোর করে তুলে নিয়ে কয়েকদিন দূরে আটকে রাখে এরপরে বাড়িতে এনে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আমার মেয়ে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। আমরা আনতে গেলেও আমাদেরকে মেয়ের সাথে দেখা করতে দেয়নি। মামলা না করতে পারি এজন্য স্থানীয় ভাবে অনেকবার আমাদের বাঁধা দিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই। 
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে আজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলার আসামী ছেলে ও বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার মাদরাসার ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।