ফেনী এর ফেনী সদর থানার এফআইআর নং-৩০, তারিখ-০৯/০৪/২০২৩খ্রি:, ধারা-৪০৬/৪২০ মামলার বাদীর ছোট ভাই কাজী মিজানুর রহমান এবং তার স্ত্রী সৌদি আরবে হজ্জ করার জন্য যাবে বিধায় সৌদি রিয়ালের প্রয়োজনতা দেখা দিলে তদন্তে প্রাপ্ত আসামীসহ অপরাপর আসামীগন বাদীকে ফোন করে ১০০ টাকার ২৫০ রিয়াল ক্রয় করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। ফলে বাদী আসামীদের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে আসামীদের নিকট হতে প্রতি রিয়াল বাংলাদেশী ২৮ টাকা মূল্যে রিয়াল ক্রয় করার জন্য রাজি হয় এবং বাদী ব্যাংক থেকে ৭ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আসামীদেরকে দিলে আসামীগন সাথে সাথে বিয়াল দিবে বলে আশ্বস্থ করে। বাদী আদালতে যাওয়ার সময় সোনালী ব্যাংক শাখার এসি নং- ৪০০৪১০০১০৬২৩০ হতে নগত ৭ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে একটি হালকা ব্রিফকেইসে চেক বহি সহ নিয়ে যায়। গত ৩০/০৩/২০১৩খ্রি: তারিখ দুপুর অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় তদন্তে প্রাপ্ত গ্রেফতারকৃত আসামীসহ অপরাপর আসামীগন বিজ্ঞ আদালতের সামনে এসে বাদীকে ফোন দিলে বাদী ব্রিফকেইস ভর্তি টাকা সহ নিম্নে ঘটনাস্থলে যান।
বাদী ব্রিফকেইসের ১ লক্ষ টাকার দুটি বান্ডেল মোট ৭লক্ষ টাকা আসামীদেরকে দিলে আসামীগন টাকা নিয়ে বাদীকে ১০০ বিধানের ২৫০টি নোট আছে বলে একটি শপিং ব্যাগ প্রদান করে। আসামীগন লোকের সামনে রিয়াল ভর্তি শপিং ব্যাগ খুললে অসুবিধা হতে পারে মর্মে ঘটনাস্থল দ্রুত টাকা ভর্তি ব্রিফকেইস ও চেক বই নিয়ে চলিয়া যায়। বাদী ও ১নং সাক্ষ্য আসামীদের কথা সরল মনে বিশ্বাস করে বিয়াল ভর্তি শপিং ব্যাগ বাদীর চেম্বারে এনে খুলে দেখে যে শপিং ব্যাগের ভিতর জব্দকৃত ভীম সাবান পেপার দ্বারা মোড়ানো। পরবর্তীতে বাদী উক্ত আসামীদেরকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে থানায় উপস্থিত হয়ে এজাহার দায়ের করলে উপরোক্ত মামলাটি রুজু হয়। উপরোক্ত মামলাটি রুজু হওয়ার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই- মোঃ জসিম উদ্দিন মামলার তদন্তভার গ্রহন করে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্তে প্রাপ্ত আসামী রাজু শেখ (২২), পিতা- আসমত শেখ, মাতা-বেবি বেগম, সাং-লোহাইর (শেখ বাড়ী), ১নং ওয়ার্ড, মহারাজপুর ইউপি, থানা- মোকশেনপুর, জেলা-গোপালগঞ্জ-কে সনাক্ত পূর্বক অত্র মামলায় গ্রেফতারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতার মঞ্জুর করেন।
অতঃপর উক্ত আসামীকে রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সহিত জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে। আসামী রাজু শেখ এর স্বীকারোক্তিতে তদন্তে প্রাপ্ত আসামী অত্র মামলার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী লাবলু শেখ (৩৮), পিতা- আসমত শেখ, মাতা-বেবি বেগম, সাং- লোহাইর (শেখ বাড়ী), ১নং ওয়ার্ড, মহারাজপুর ইউপি, থানা- মোকসুদপুর, জেলা-গোপালগঞ্জকে সনাক্ত করা হয়। তারপর উক্ত আসামীকে গোয়েন্দা নজরদারীতে রাখার একপর্যায়ে গত ১৫/০৫/২০২৩খ্রি: তারিখ বিকাল ১৬.২৫ ঘটিকায় তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তার অবস্থান নির্ণয় করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই- মোঃ জসিম উদ্দিন তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ এবং মোকসুদপুর থানার অফিসার ফোর্সের সহায়তায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বর্ণিত আসামীকে গোপালগঞ্জ জেলার মোকসুদপুর থানাধীন শিশুপার্ক এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
অতঃপর উক্ত আসামীকে হেফাজতে নিয়ে সতর্কতার সহিত ফেনী ডিবি অফিসে এনে অত্র মামলার ঘটনা সংক্রান্তে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে এবং ঘটনার দিন ও সময়ে গ্রেফতারকৃত হাজতী আসামী রাজু শেখ সহ অপরাপর পলাতক আসামীরা সহ আর মামলার ঘটনা সংগঠিত করেছে মর্মে স্বীকার করে। উক্ত আসামী অত্র মামলার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে স্বীকার করে। উক্ত আসামী এবং গ্রেফতারকৃত হাজতী আসামীসহ অপরাপর পাতক আসামীগণ সঙ্গবদ্ধ ভাবে ফেনী জেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একই কায়দায় মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছে মনে প্রাথমিক তদন্তকালে প্রকাশ পেয়েছে। পলাতক আসামীদের-কে গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।