টাংগাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পাহাড়ী অঞ্চলে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের আঁধারে এক যোগে চলছে ফসলি জমি ও লাল মাটি খেকোদের চলছে নির্মম তান্ডব। ফলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে পাহাড় ও ফসলি জমি এলাকা পরিনত হচ্ছে অন্যায়ের রাজত্ব। হুমকির মুখে পরছে জীব ও বৈচিত্র।  অনুসন্ধানে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় ঘাটাইল উপজেলায় পুর্বে এক তৃতীয়াংশ জুড়ে রয়েছে বিশাল পাহাড়ি বনাঞ্চল। এস্কেভেটর(বেকু) দিয়ে লাল মাটি কেটে বাড়ি ঘর নির্মান থেকে শুরু করে ইট ভাটায় ব্যবহৃত হচ্ছে এ মাটি। প্রশাসনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় কিছু অসাধু মাটি ব্যবসায়ীরা ভেকু দিয়ে রাতে আধারে সন্ধানপুর ইউনিয়নে ফকিরবাড়ি,গিলাবড়ি ধলাপাড়া বড় মেধা গ্রাম, হরিনাচালা,রসুলপুর ইউনিয়নে ঘোড়ার টেকি দেওপাড়া ইউনিয়নের রহমতেরবাইদ, ২৫ থেকে ২৭টি পয়েন্টে অবৈধ ভাবে লাল মাটি কাটার মহাৎসব চলছে । যদিও প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলে সাময়িক বন্ধ থাকে,আবার কয়েকদিন পরে সেই আগের চেহারায় ফিরে আসে। সংগ্রামপুর, ধলাপাড়া, দেওপাড়া, সাগরদিঘী, সন্ধানপুর, লক্ষিন্দর, রসুলপুর ইউনিয়নে প্রায় প্রতিরাতেই পাহাড়ের ১৬টি স্থানে চলে তান্ডব।  মাটি খেকোরা ১০-১৫ ফুট গর্ত করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে, ট্রাক দিয়ে মাটি নেওয়ার সময় গ্রামীন জন পথ এবং পাকা রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে, রাস্তার ধুলায় পাশে থাকা ফসলের মধ্যে প্রলেপ পড়ে যায়, শুধু তাই নয় ধুলা ঢুকে যাচ্ছে দোকান পাঠ বসত বাড়ির ঘরের ভেতর। এতে অনেকে সর্দি কাশি শ্বাসকষ্টে ভূগছে। অল্প বৃষ্টিতে রাস্তা ঘাটে খানা খন্দের সৃষ্টি হয়। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে গ্রামীন রাস্তা। সন্ধাপুর ইউনিয়নের ফকিরবাড়ি গ্রামের মোঃ ফারুক হোসেন জানান বিট অফিসার থেকে শুরু করে সবাই কে ম্যানেজ করেই এ মাটি কাটা হচ্ছে। এ বিষয়ে ঘাটাইল ধলাপাড়া বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমান জানান কোথাও লাল মাটি কাটার শোনার সাথে সাথে গিয়ে এস্কেভেটর (বেকু) আটক করেছি মামলা দিয়েছি।