প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী প্রতিনিয়ত হ্রাস,উত্তরণে আলোচনা

কুড়িগ্রাম জেলায় চর রাজিবপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র/ছাত্রী প্রতিনিয়ত হ্রাস পাওয়ায় শিক্ষা অফিসারের সভাপতিত্বে ও মুন্সি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সকাল ১১.০০ ঘটিকায় রাজিবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলরুমে উপজেলার ৫৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকমন্ডলীদের সাথে নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। চর রাজিবপুর উপজেলাধীন ৫৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমানের মধ্যেও প্রতিনিয়ত ছাত্র/ছাত্রী হ্রাস পাচ্ছে। ছাত্র/ছাত্রী হ্রাস পাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ ও সমস্যা সমাধানের নিমিত্তে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজিবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজাহার আলী বলেন,এলাকায় বিভিন্ন প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন ব্র্যাক,জাকাত ফাউন্ডেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন মাদ্রাসা থাকায় ছাত্র/ছাত্রী কমে যাচ্ছে। টাঙ্গালিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্মীয় শিক্ষার বিভিন্ন দিকে ঘাটতি ও  অপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা, কোচিং সেন্টার গড়ে উঠায় এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি বেশি থাকায় ছাত্র /ছাত্রী ক্রমেই কমে যাচ্ছে। বালিয়ামারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষকমন্ডলীর অভিভাবকদের যোগাযোগ বা মতবিনিময় না থাকা এবং ছাত্র/ছাত্রী প্রতি শ্রেণি শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবে প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। চরনেওয়াজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন,পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকায় বিশেষ করে বৃত্তি পরীক্ষা না থাকা,প্রাইভেট স্কুল ও মাদ্রাসা একই সময় সূচি অনুসরণ না করায় ছাত্র/ছাত্রী কমে যাচ্ছে। ধুলাউড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লবী আক্তার বলেন,শিক্ষক স্বল্পতা,৩য়-৫ম শ্রেণির ক্লাস ১২.৩০ মিনিটে শুরু হওয়ায় শিক্ষক এবং ছাত্র/ছাত্রীরা পাঠদানে অমনোযোগী হয়ে যাওয়ায় ছাত্র/ছাত্রী কমে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিকতার ঘাটতি থাকায় ছাত্র/ছাত্রী কমে যাচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকমন্ডলীর আলোচনার শেষে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফরহাদ হোসেন বলেন,সকল শিক্ষকমন্ডলীর সন্তানদের প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে না দিয়ে অবশ্যই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে হবে।এবং সবাইকে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/ছাত্রীদের প্রতি আন্তরিক হতে হবে।