কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দুপুরে ফয়নুর গ্রীন পল্লী’র উদ্বোধন করা হয়েছে।শনিবার ২০ এপ্রিল দুপুরে এর উদ্ধোধন করেন জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোঃ হামিদুল হক খন্দকার।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দুপুরে ফয়নুর গ্রীন পল্লী’র উদ্বোধন করা হয়েছে।শনিবার ২০ এপ্রিল দুপুরে এর উদ্ধোধন করেন জাতীয় সংসদ সদস্য  বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোঃ হামিদুল হক খন্দকার।

এ সময় ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ, শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম,১ নং নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাছেন আলী, ব্যারিস্টার সিনহা খন্দকার, মিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান সহ আরো অনেক।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরিবেশ বান্ধব, মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে ফুলে ফুলে সুশোভিত ফয়নুর গ্রীন পল্লী ইতোমধ্যে ভ্রমণ পিপাস মানুষের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এখানে রয়েছে নানান প্রজাতির নান্দনিক ফুলও ফলের বাগান, সুইমিংপুল, মৎস্য খামার, কবুতর ও হাঁসের খামার, রেস্ট হাউজ, স্টেজ, সাউন্ডসিস্টেম, তিন শতাধিক মানুষের জন্য একসঙ্গে বসেখাবার ব্যবস্থা। পরিবার পরিজন কিংবা গ্রুপ পিকনিকের জন্য এটি একটি আদর্শ পর্যটন স্পট। এটি উপজেলার শিমুলবাড়ীর মিঞাপাড়া গ্রামের নিভৃত পল্লিতে ১.৫৫ একর জমির উপর নির্মিত। ওই এলাকার  ফরিদ হোসেন নামের একজন বেসরকারী চাকুরী জীবি নিজেই পরিচালক হিসেবে এই রিসোর্ট কেন্দ্রটি গড়ে তোলেন। সকাল ৯.০০ টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত উম্মুক্ত থাকে এটি। উদ্বোধনের পর অতিথিবৃন্দ পুরো রিসোর্টটি ঘুরে দেখেন এবং এর নান্দনিক সৌন্দর্য্যরে জন্য উচ্ছাস প্রকাশ করেন। শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন সকল অতিথি বৃন্দ দর্শনার্থী। রিসোর্টের উপদেষ্টা শিমুলবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শরীফুল আলম মিয়া জানান,“প্রকৃতি প্রেমী ও ভ্রমণ পিপাসু মানুষের জন্য এটি আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দলে দলে লোকজনএসে ঘুরে দেখছেন।

দর্শনার্থী ও এলাকাবাসী জানান, শহরে বেশ কিছু বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ড সেন্টারে আমরা সব সময় গিয়ে থাকি,তবে নিত্যান্ত পল্লী অঞ্চলে যে এত সুন্দর একটা রিসার্চ সেন্টার  হবে এটা কল্পনাতীত। আজকে উদ্বোধন হলো এইচএস সেন্টারটি বা বিনোদন কেন্দ্র আমরা এসে ঘুরেফিরে আনন্দ ভোগ করলাম। 

রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদ হোসেন জানান, “আমার গোটা চাকুরি জীবনের উপার্জন, সঞ্চয় ও ব্যাংক ঋণ দিয়ে তিল তিল করে এই রিসোর্টটিগড়ে তুলেছি। বিনোদনের পাশাপাশি এখানে বেশ কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। 

প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. হামিদুল হক খন্দকার, এমপি জানান,“বিনোদনের সুযোগ বঞ্চিত কুড়িগ্রামসহ ও আশেপাশের জেলার লোকজজনের জন্য রিসোর্টটি একটি আদর্শ পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। এটি একটি নান্দনিক বিনোদন স্পট। মানুষের মনের খোরাক জোগাবে।