বগুড়ার আদমদীঘির কাঞ্চনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে জেলা শিক্ষা অফিসার আসার খবর পেয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত চার জন আহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানিয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২৩ সালের মার্চে যোগদান করা উপজেলার কাঞ্চনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র পালের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সোমবার সকালে জেলা শিক্ষা অফিসার অভিযোগগুলো তদন্তে আসছেন। সেই খবরে চাঁপাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য এমদাদুল হক সাঈমের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও সচেতন মহলের ব্যানারে বিএনপি কর্মীসহ শতাধীক লোকজন ফেস্টুন নিয়ে ওই শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে বের হয়ে কালভার্টে পৌঁছলে চাঁপাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরিদ সরকারের নেতৃত্বে অর্ধশতাধীক নেতাকর্মী নিয়ে সেখানে হাজির হয়। এসময় তাদের বাঁধাগ্রস্থ করলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এমদাদুল হক সাঈম, সিরাজুল ইসলাম এবং অপর পক্ষের এনামুল হক ও আলমগীর হোসেন আহত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে ওই শিক্ষকের অভিযোগগুলোর তদন্ত শুরু করেন জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ।
ঘটানাস্থলে আসা আদমদীঘি থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ফেরদৌস হোসেন বলেন, দু’পক্ষের আহত দুই জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে থানায় এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নি।
বগুড়া জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ বলেন, ‘বিদ্যালয়ে এসে প্রাথমিক তদন্তে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি- ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গৌর চন্দ্র পাল বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদেও সাথে খারাপ আচরন, মানসিক চাপ সৃষ্টি ও এককভাবে স্কুল পরিচালনা করা সহ নানা অনিয়মে লিপ্ত রয়েছেন। সপ্তাহ খানেক পর শিক্ষার্থীদের বক্তব্য নিতে আবারো আসবো। সম্পন্ন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’