পরে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিকল্প আরেকটি সভা করেন উপাচার্য।
বুধবার (৯ জুলাই) বিকেল ৪টায় উপাচার্যের কার্যালয়ে এই সভার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা এ সভা বর্জন করলে তাদের ছাড়াই উপস্থিত মাত্র ১২ শিক্ষক নিয়ে সভা চালিয়ে যান উপাচার্য।
এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক রাকিব আহমেদ বলেন, সভাটিতে জুলাই আন্দোলনের স্বপক্ষের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের আহবান করা হয়েছিল। আমরা যখন সভাকক্ষের দিকে যাই তখন দেখতে পাই যে শিক্ষকদের মধ্যে যারা জুলাই আন্দোলনে বিরোধীতাকারী ছিল তারা সভা কক্ষে বসা। তাই আমরা সেই সভা বর্জন করে চলে আসি।
সভায় অংশ নিতে যাওয়া সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আশরাফুল মোল্ল্যা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা সরাসরি বিরোধিতা করেছে। এক দফার কবর দিতে চেয়েছে। যারা শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে, তাদের নিয়ে আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান উপলক্ষে কর্মসূচির পরিকল্পনা করবো সেটা হতে পারেনা। তাই আমরা শিক্ষকদের সাথে ঐ সভাটি বর্জন করি।
বিকল্প সভাটিতে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মোকাব্বেল শেখ উপাচার্যের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনি (ভিসি) সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ডেকেছেন, কিন্তু উপস্থিত হয়েছে হাতে গোনা কয়েকজন। এর মূল কারণ, প্রতিটি বিভাগে ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে আছে। তারা চায় না জুলাই আন্দোলন সফল হোক। বিচার না হলে কোনো প্রোগ্রামই সফল হবে।
সভায় ববি উপাচার্য (অন্তর্বর্তীকালীন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম এ বিষয়ে কথা বলতে বিব্রতবোধ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের টু দ্য পয়েন্টে অর্থাৎ মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের কর্মসূচি নির্ধারণের বিষয়ে কথা বলার জন্য বলেন। পরে তার মতামত জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।