আজকের দিনটিতে ১৫ আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া মাগফেরাত কামনা করেছেন ইউএনও নাজমা বিনতে আমিন।

রাঙামাটির বরকলে  উপজেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার ৫ আগস্ট সকালে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে এ সভা আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতেই শহীদ শেখ কামাল এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাগফেরাত কামনা করা হয়।বরকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(অঃদাঃ) নাজমা বিনতে আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা,বিশেষ অতিথি ছিলেন বরকল মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক প্রভাত বিন্দু চাকমা।উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ে কর্মরত টিটু ত্রিপুরা এর সঞ্চালনায় শহীদ শেখ কামাল এর জীবনী নিয়ে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন বরকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)প্রতিনিধি উপ-পরিদর্শক(তদন্ত)মোঃ আরিফ উদ্দিন,বরকল রাগীব রাবেয়া কলেজ অধ্যক্ষ নৈচিং রাখাইন,উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রিয় রতন চাকমা প্রমূখ।

প্রধান অতিথি বক্তব্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিধান চাকমা বলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল এর লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও নীতি আদর্শ ছিল উদীয়মান তরুণ সমাজের অনুপ্রেরণা।একজন ভালো যুবকের যে গুণাবলি থাকা দরকার সেইসব গুণাবলি শহীদ শেখ কামাল এর মধ্যে ছিল।এছাড়াও রাজনৈতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামাল এর যে অবদান ছিল তা পত্র পত্রিকা পড়ে দেখলে বুঝা যায়।আর যে সময়ে দেশ গঠনে শেখ কামালের অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ঠিক সেইসময়টাতে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবারকে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল তা কখনো মেনে নেয়ার মতো নয়।তাই ভবিষ্যতে যাতে উদীয়মান তরুণ নেতৃত্বের মাঝে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা চোখে না পড়ে তিনি সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। সভাপতি বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জৈষ্ঠ্য পুত্র ছিলেন শহীদ শেখ কামাল।স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী অধীনে শেখ কামাল সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন।

পরবর্তী দেশ স্বাধীনতার পরে তরুণ সমাজকে এগিয়ে নিতে শেখ কামাল অাবাহনী ক্রীড়া সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।এছাড়াও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার যথেষ্ট অবদান ছিল। একজন রাষ্ট্র প্রধানের সন্তান হয়েও সাধারণ মানুষ ও যুব সমাজকে নিয়ে যে চিন্তাভাবনা ছিল তা সত্যি প্রশংসনীয়।কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে শেখ কামাল শহীদ হন।যা সেই ক্ষতি কখনো পূরণ করা সম্ভব নয়। আজকের দিনটিতে ১৫ আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার শান্তির জন্য  দোয়া মাগফেরাত কামনা করেছেন ইউএনও নাজমা বিনতে আমিন। এসময় উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের নেতৃবৃন্দ,জনপ্রতিনিধি,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী,গণমাধ্যমকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।