বরিশালে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র সহ ঘর ও তালা ভাঙ্গার সরঞ্জাম এবং একটি পিকআপ ভ্যান ও জব্দ করা হয়। এ সময় পুলিশের টের পেয়ে চারজন ডাকাত পালিয়ে গেলেও তিনজনকে আটক করতে সমর্থ হয় পুলিশ।
নগরীর নতুল্লাবাদের লুৎফুর রহমান সড়ক (ওয়ার্ড নং - ২৯) এর শরীফ আবাসিক হোটেলের চতুর্থ তলার ১২৯ নম্বর রুমে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়। এরা হল বরগুনার সদর থানার বুড়িরচর এলাকার বাচ্চু মুন্সির ছেলে রবিউল মুন্সি (২৯)। কেওড়া বুনিয়া এলাকার মজিবুর ফরাজির ছেলে রিফাত ফরাজি (২০)। এবং হরিদ্রা বাড়িয়া এলাকার ইদ্রিস চাপরাশি র ছেলে সজীব চাপরাশি (১৯)। সবথেকে সংবেদনশীল খবর হল এদের মধ্যে দুজনই কিশোর অপরাধী।
গতকাল বুধবার (২২ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেলের উপ পরিদর্শক মোঃ তানজিল। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার আনুমানিক রাত সাড়ে নয়টার দিকে মহানগর ডিবি পুলিশের এস.আই. চম্পা আক্তারের নেতৃত্বে এ.এস.আই. বিকাশ চন্দ্র, কনস্টেবল মেহেদী ও নারী কনস্টেবল সোনিয়া ও জাকিয়া বেগম এর সমন্বিত একটি অভিযানিক টিম নগরীর নতুল্লাবাদের লুৎফর রহমান সড়কের আবাসিক হোটেল শরীফের ১২৯ নং কক্ষ অভিযান চালায়।
এ সময় তিনজনকে আটক করা হলেও অভিযানের টের পেয়ে চারজন আসামি পালিয়ে যায়। এরা হলো হরিদ্রা বারিয়া এলাকার খবিরের ছেলে সাগর (১৯), বরিশাল বানারীপাড়া উপজেলার চাখার এলাকার জামালের ছেলে রাসেল (৩৮)। এবং একই এলাকার সোহাগ ও লালন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি প্রস্তুতি চলছে মামলা দায়েরের।
সবথেকে বড় চিন্তার বিষয় ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করা পাঁচজনই কিশোর অপরাধী। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ২০ বছরের নিচে। এ ঘটনার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কিশোর অপরাধীদের ডাকাতিতে জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ সামনে আসলো। এখনই সচেতন না হলে কিশোরদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঝুঁকে পড়বে।