জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৩৬ দিনব্যাপী ১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সোমবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “শহীদদের নিয়ে যখন বিভিন্ন মহল দলীয়করণ ও ক্রেডিটের রাজনীতি করছে, তখন ছাত্রশিবির জুলাই স্পিরিট ধরে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, “যে কারণে এই অভ্যুত্থান হয়েছিল, সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। বরং এখনো দেশে আগের শাসনব্যবস্থার মতোই পরিস্থিতি বিরাজ করছে।”
তিনি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান এবং দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান।
ঘোষিত ১১ দফা কর্মসূচি হলো:
১. সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, গবেষণা সম্মেলন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
২. শহীদদের কবর জিয়ারত, শহীদ পরিবার ও আহতদের সঙ্গে মতবিনিময়
৩. শাখাভিত্তিক ‘জুলাই দ্রোহ’ শীর্ষক বিক্ষোভ মিছিল
৪. আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ডকুমেন্টারি ও সাংস্কৃতিক উৎসব
৫. জুলাই গ্রাফিতি অঙ্কন
৬. স্মৃতিলিখন, রচনা, বিতর্ক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা
৭. শহীদদের নামে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা
৮. সাক্ষাৎকার ও পডকাস্ট: ‘ত্যাগীদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ’
৯. সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যার প্রকাশনা
১০. স্মৃতি লিখন প্রতিযোগিতা, প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন
১১. ‘Think Back to 36 July’ শিরোনামে অনলাইন ক্যাম্পেইন
জুলাই ঘোষণাপত্র সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে শিবির সভাপতি বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে নয়, সরকারের পক্ষ থেকেই হওয়া উচিত।” তিনি সরকারকে দ্রুত এই ঘোষণাপত্র প্রকাশের আহ্বান জানান।