দীর্ঘ দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে গৃহবধু মোছাঃ রেনু বেগম (৫০) সন্ধান চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে স্বামী ও ৩ সন্তান।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামের বাড়ীতে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নিখোঁজ গৃহবধুর স্বামী মোঃ বাবলু শেখ, ছেলে লিটন শেখ, মেয়ে বন্যা ও মেঘলা।
স্বামী মোঃ বাবলু শেখ বলেন, আমার স্ত্রী রেনু বেগম বিভিন্ন সময় নিজ বাড়ী থেকে ৮-১০ বার চলে গিয়ে নিখোঁজ হয়। আবার বাড়ীতে ফিরে আসে। কিন্তু আমার ভাগ্নের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে অপহরণের ঘটনা ঘটে। ওই পরিবারের পাশে দাড়ালে স্থানীয় মনোয়ার সহ তার লোকজন নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই মধ্যে হঠাৎ করে স্ত্রী বাড়ী থেকে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে বিভিন্ন আত্বীয় বাড়ীতে খোঁজ নেই। যে বাড়ীতে যাই তারা বলে এখানে আসছিল, পরে বাবার বাড়ী চলে গেছে। পরে স্থানীয় মনোয়ার ষড়যন্ত্র করে আমার শাশুরী মোছাঃ মরিয়ম বেগমকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করছে। মনোয়ারের ভাই শাকিল স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে। ওই মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় আমাকে ও আমার ছেলেকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। এতে ধারণা করছি, আমার স্ত্রীকে মনোয়ার সহ তার লোকজন আটকে রেখে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর চেষ্টা করছে।
রেনু বেগমের ছেলে মোঃ লিটন শেখ বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি, আমার মা মাঝে মাঝে একাই বাড়ী থেকে চলে যায়। আবার কিছুদিন পর ফিরে আসে। গত ১ জুলাই সকাল ১১ টার দিকে বাড়ীর কাউকে কিছু না বলে চলে যায়। পরে খোঁজখবর নিয়ে না পেয়ে বালিয়াকান্দি থানায় গত ২৫ আগস্ট বালিয়াকান্দি থানায় জিডি করি। মাকে খোঁজাখুজি করছি। এরই মধ্যে মনোয়ারের ভাই শাকিল আমার ভাস্তিকে অপহরণ করে। এ মামলার স্বাক্ষী হওয়ার পর আমার নানীকে ভূল বুঝিয়ে তাকে দিয়ে মামলা দায়েরের চেষ্টা সহ নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এ সময় রেনু বেগমের মেয়ে বন্যা বলেন, আমার মা মাঝে মাঝে এভাবে বাড়ী থেকে চলে যায়। আমার বিয়ে হয়েছে। মা নিখোঁজ হওয়ার কারণে বাবার বাড়ীতে এসে থাকতে হচ্ছে। আবার আমার নানি মরিয়ম বেগম আমাদের এখানে না এসে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা আমার মাকে খুঁজে পেতে সকলের সহযোগিতা চাই।
বালিয়াকান্দি থানার এসআই আকবর বলেন, বাবলু শেখ ও লিটন আদালতে দায়েরকৃত সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী অপহরণ মামলার স্বাক্ষী। তারাও থানায় নিখোঁজ জিডি করেছে। আবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে রেনু বেগমের মা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বালিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ জামাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে সত্যতা বেরিয়ে আসবে। অপরাধী হলে আইনের আওতায় আনা হবে।