শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের এমপি প্রার্থী দুলাল চৌধুরীকে “হিন্দু সংখ্যালঘু” বলে কটাক্ষ করার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপির একাংশ।


এ উপলক্ষে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে নালিতাবাড়ী শহরের নিলামপট্টি এলাকায় দুলাল চৌধুরীর সমর্থকদের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে নালিতাবাড়ী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া মাকসিম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন,  বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় শহর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন বলেন— “দুলাল চৌধুরী একজন হিন্দু সংখ্যালঘু।”
এ সময় আনোয়ার হোসেন আরও দাবি করেন, “দুলাল চৌধুরী মনোনয়ন পেলেও নকলা-নালিতাবাড়ীর কেউ কোনো সংখ্যালঘুকে ভোট দেবে না।”

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আনোয়ার হোসেনের এ বক্তব্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র এবং দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ। এর মাধ্যমে তিনি ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে এলাকায় দাঙ্গা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
তারা অবিলম্বে জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কাছে আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরে আনোয়ার হোসেন তার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত এ মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। 

এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,
শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম, যোগানিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি আ. রাজ্জাক, রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারন সম্পাদক, কামাল হোসেন সরকার, নন্নী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রহুল আমিন, কলসপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম, মরিচপুরান ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম শহীদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আ. জব্বার, উপজেলা কৃষকদলের সাবেক আহবায়ক আব্দুল জলিলসহ বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংঠনের নেতৃবৃন্দ।