বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট (প্রতিস্থাপন) করতে হবে বলে জানিয়েছে তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। মেডিকেল বোর্ড জানায়, এই চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব না। তাঁকে বিদেশে নিতে হবে।
এভারকেয়ার হাসপাতালে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানাতে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে খালেদার চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। এফ এম সিদ্দিকী বলেন, এখন খালেদাকে যেসব চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তা সাধারণ। উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদিন তাঁকে বিদেশে নেওয়া না হবে ততদিন তাঁর পূর্ণ চিকিৎসা সম্ভব না।
খালেদা জিয়ার পেট ও বুকের পানি বের করা এবং অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া ছাড়া দেশে আর কোনো চিকিৎসা নেই বলে জানান এফ এম সিদ্দিকী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুঝঁকি অনেক বেশি। লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য জরুরিভিত্তিতে বিদেশে নেওয়া দরকার। খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা জানাতে গতকাল এই সংবাদ সম্মেলনের কথা জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ।
গত ৯ আগস্ট থেকে খালেদা জিয়া এভারকেয়ার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মাঝে শারীরিক অবস্থার অবনতির জন্য তাঁকে কয়েকদফা সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। পরে আবার কিছুটা স্থিতিশীল হলে তাঁকে কেবিনে নেওয়া হয়। এভারকেয়ারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে ১৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা তদারকি করছেন।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এছাড়া, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তাঁর। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।