অসহায় বিচারপ্রার্থীদের বিচার প্রার্থনায় প্রতিবন্ধকতার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাড. আজাদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরে আলম সিদ্দিকী উজ্জ্বল, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. আবুল মাজাদ চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল হামিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম,  সাবেক পিপি অ্যাড. খায়রুল কবির রুমেন, অ্যাড. এনাম আহমেদ, অ্যাড. এআর জুয়েল, অ্যাড. মাজহারুল ইসলাম,  অ্যাড. মোশাহিদ আলী প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অন্তর্বতীর্কালীন সরকার একটা গেজেটের মাধ্যমে ৯টি আইনের বিরোধ লিগ্যাল এইডে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে। মধ্যস্থতার মাধ্যমে এসব আইনের বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা না করে কেউই সরাসরি মামলা দায়ের করতে পারবে না। মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে পরবতীর্তে এটা আদালতে যাবে। এটার কার্যকারিতা শুরু হলে ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে বাধা সৃষ্টি হবে। লিগ্যাল এইডের দীর্ঘসূত্রতায় অনেকে আগ্রহ হারাবে। মধ্যস্থতার কথা বলে সময়ের পর সময় নিতে থাকবে অপরপক্ষ। যা মামলা শুরুর পূর্বে বাড়তি সময় ও জটিলতা সৃষ্টি করবে। তাছাড়া  তদন্তের নামে হয়রানি আরও বেড়ে যাবে 


বক্তারা আরও বলেন, গেজেটের মাধ্যমে সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের দুভোর্গ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে। এসময় গেজেট প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত মানববন্ধন, মিছিল, সভা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তারা। 

 

প্রসঙ্গত, আইন মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা অনুযায়ী— ভুয়া মামলা কমানো, নির্দোষ ব্যক্তিকে মামলায় জড়ানো রোধ করা, মামলার চাপ হ্রাস এবং বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি কমানোর উদ্দেশ্যে ২০০০ সালের ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’—এর সংশোধনের মাধ্যমে ‘অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশ’ নামে একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, যা ১ জুলাই আইন ও বিচার বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। জানা গেছে, দেশের আইন অঙ্গনে বছরের পর বছর মামলার চাপ বাড়ছে। মামলার চাপ কমানো, নির্দোষ ব্যক্তিদের হয়রানি থেকে মুক্তি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি লাঘবের কথা বলেই এই ৯টি আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে।