শশুর দবির মিয়ার দাবী, ভোরে ছেলেকে ঘর থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন ফাহমিদা। পরে দরজা লক ভেঙ্গে প্রবেশ করে দেখেন গলায় ওড়না প্যাচ দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফাহমিদা।

বিয়ানীবাজার উপজেলার বৈরাগীবাজারে কইরবন্দ এলাকার দবির উদ্দিনের পুত্র আবিদুর রহমান সাথে একই উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া গ্রামের জমির উদ্দিন মেয়ের ফাহমিদা আক্তারের বিয়ে হয়েছিল বছর তিনেক আগে। এই দম্পতির সুখের সংসারে বিপত্তি ঘটায় সন্তান না পাওয়ার আক্ষেপ। এ নিয়ে প্রায়ই শশুর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে ফাহমিদাকে শুনতে হতো মন্দ কথা। বোনের পরিবারের সুখ শান্তির কথা চিন্তা করে ফাহমিদার ভাইয়েরা বোনের স্বামী আবিদুরকে নিয়েছিলেন প্রবাসেও কিন্তু সেখানেও সে থাকে নি বেশী দিন। এ নিয়ে ও বিরোধ গড়িয়েছিলো ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত। দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহের ইতি ঘটলো বুধবার ভোরে। তবে রয়ে গেল রহস্য! সকালে আবিদুর ও ফাহমিদা দম্পতির বসত ঘর থেকে উদ্ধার হলো ফাহমিদার ঝুলন্ত লাশ। 

শশুর দবির মিয়ার দাবী, ভোরে ছেলেকে ঘর থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন ফাহমিদা। পরে দরজা লক ভেঙ্গে প্রবেশ করে দেখেন গলায় ওড়না প্যাচ দিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফাহমিদা। মাত্র ২৪ বছর বয়সে জীবনের ইতি টানা ফাহমিদার বাবার বাড়ির লোকজন অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়। দীর্ঘ দিন ধরে তাদের পারবারিক বিরোধ চলছিলো। রাতেও ফোন দিয়ে ঘরে ঝগড়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। দুবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, ফাহমিদার স্বামীকে তার ভাইয়েরা বিদেশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে বেশি দিন থাকেন নি। ভিসার টাকা পরিশোধ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে ও একাধিক বৈঠক হয়েছে। 

এদিকে, ঘটনার খবর বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ পুলিশের একটি দর ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করেছে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত মহিলার স্বামী আবিদুর রহমানকে আটক করা হয়।বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে আবিদুর রহমানসহ পরিবারের অনান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।