বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চুক্তিভিত্তিক চাষী বীজ আলুর মূল্য গত বছরের তুলনায় কম দেয়ার প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) চুক্তিভিত্তিক চাষী বীজ আলুর মূল্য গত বছরের তুলনায় কম দেয়ার প্রতিবাদে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে পঞ্চগড় জোনের চুক্তিভিত্তিক চাষীবৃন্দের ব্যানারে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা যায়। মানববন্ধনে বিএডিসির পঞ্চগড় জোনের ৩১ জন বীজ আলু চাষী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে বিএডিসির আলু চাষী আব্দুল মতিন, মাসুদ সরকার, সাজ্জাদ হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বেশি দরে বীজ আলু ক্রয় করে উৎপাদিত আলু কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ আলু চাষীরা। এতে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়ছি। এমতাবস্থায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের কাছে বীজ আলুর দর পুনর্বিবেচনার দাবি করছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমরা বিএডিসি থেকে ভিত্তি বীজ ক্রয় করেছিলাম ৪৮-৫৪ টাকা দরে। ওই সময় উৎপাদিত বীজ আলুর দাম পেয়েছি ৩৫-৩৭ টাকা কেজি। অথচ বাইরে আলুর দর ছিল ৭০-৮০ টাকা। কিন্তু আমরা বিএডিসির সাথে চুক্তিবদ্ধ বিধায় বাইরে কোনো আলু বিক্রি না করে বিএডিসির চাহিদামতো আমরা বীজ সরবরাহ করেছি। যার ফলে বিএডিসি ব্যাপক লাভবান হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিএডিসি ভিত্তি বীজের দাম নিয়েছে ৬০-৬২ টাকা দরে। এতে উচ্চমূল্যে বীজ সার, কীটনাশক ব্যবহার করে উৎপাদন খরচ বেড়ে অঞ্চল ভেদে দাড়িয়েছে ৩০-৩৫ টাকা। তাছাড়া বীজ আলুর উৎপাদনে বিশেষ যতœ নিতে হয় এবং উৎপাদন একটু কম হয়। অথচ এবার দর নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬-২৮ টাকা। গত বছরের থেকে প্রতি কেজিতে দুই টাকা বাড়িয়ে ৩৭-৩৯ টাকা দর নির্ধারণের দাবি জানানো হয়। দাম যদি বাড়ানো না হয় তাহলে আগামী বীজ আলু উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে চাষীরা। তাছাড়া ১০ একরের নিচে কোনো চাষী চুক্তিবদ্ধ হতে পারে না। বাধ্য হয়ে জমি লিজ নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হতে হয়। এতে আরও উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। পঞ্চগড় জোনে বিএডিসির চুক্তিবদ্ধ চাষির সংখ্যা ৩০ জন। আলু চাষ করেছে তিনশ একরের বেশি জমিতে।