উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত পশ্চিম ভোগডোমায় আদিবাসী ও স্থানীয় মুসলিম জনতার দীর্ঘদিনের খেলার মাঠের ফুটবল গোল পোস্ট ভেঙ্গে ফেলে হ্যারো দিয়ে চাষ করে ঐ এলাকার মৃত সোহরাব আলীর ছেলে নুরুন্নবী, তার ভাই মাসুদ, মামুনসহ অন্যরা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ভূমিদস্য নূরনবীরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখানে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কলার চারাগাছসহ বনজ বৃক্ষের চারাগাছ লাগানোর চেষ্টা করে।
কিন্তু আদিবাসী প্রতিবাদি ইয়ংস্টার ক্লাবের সদস্যগন এবং গ্রামবাসীরা তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ভূমিদস্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
ঘটনার দিন আদিবাসী প্রতিবাদী ইয়ং স্টার ক্লাবের পক্ষে সভাপতি বাবুলাল মুর্মু ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল বাস্কে জেলা প্রশাসক বরাবর ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেছেন।
পশ্চিম ভোগডোমা মৌজার খাস খতিয়ান ভুক্ত ৬১৪, ৬১৫ ও ৬১৬ দাগের ৩ একর জমি স্থানীয় জনগণের ব্যবহার্য খেলার মাঠ।
বিতর্কিত জায়গা সরকারী তবে খেলার মাঠ হিসেবে বহুল পরিচিত, স্বীকার করেছেন পাল্টাপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী আব্দুল মান্নান।
মানববন্ধনকারী আব্দুল জব্বার, বাবুল ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য, মাসুম, মেহেদী, আদিবাসী নেতা জোসেফ হেমরম পাথরাজ কিস্কু, বাজুন বেসরা, অ্যাড ওয়াড হেমরম, পিউস মুরমু সহ অসংখ্য গ্রামবাসী অবিলম্বে ভূমির দস্যু নূরনবী সহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান।
মানববন্ধন শেষে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে গেলে সেখানে
বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আমিরুল বাহারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আদিবাসী ইয়ং স্টার ক্লাব ও এলাকাবাসীর যৌক্তিক দাবি দীর্ঘদিনের খেলার মাঠ রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন বিষয়টি ইতিমধ্যে আমলে নিয়ে সরকারি জমিতে সাইন বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।