লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সাবেক অধ্যক্ষ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে হত্যার ঘটনায় ঘটনার পরদিন থেকে জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে উত্তাল পাটগ্রাম। বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও শিক্ষক সমিতির আয়োজনে পাটগ্রাম পৌরসভার চৌরাঙ্গির মোড়ে এসব কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর আগে ২৪ ও ২৫ জানুয়ারিও একই দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচী পালন করেছে।

দুপুরে পৌরসভার পূর্ব চৌরাঙ্গী মোড়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এ মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি মফিদুল ইসলাম রুপার ও সাধারণ সম্পাদক লিবন প্রামানিকসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবন্দ, স্থানীয় শিক্ষাবিদ ও সুশীলরা বক্তব্য রাখেন। এসময় পাটগ্রাম পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।এদিকে পৌরসভার পশ্চিম চৌরাঙ্গী মোড়ে হত্যাকাণ্ডে নিহত পাটগ্রাম মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.ওয়াজেদ আলীর গুণাবলী স্মৃতিচারণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।এসময় লালমনিরহাট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সাংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবু পূর্ণ চন্দ্র রায়,সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় বক্তারা বলেন, শুধু পাটগ্রাম নয় জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলী।এই হত্যাকাণ্ডের মুল আসামি ঘটনার ৬ দিন অতিবাহিত হলেও গ্রেফতার হয়নি।এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে ঘটনায় জড়িত মুল আসামিকে গ্রেপ্তার এবং ঘটনার রহস্য উন্মোচন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহীনির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ওমর ফারুক বলেন, আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। তদন্ত চলছে। এ পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। দ্রুত মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরসভার নিউ পূর্ব পারার নিজস্ব বাড়ীর সামনে সাবেক অধ্যক্ষ এম ওয়াজেদ আলী (৬৯) দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিহত হন তিনি ।এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ছেলে মো. রিফাত হাসান (২৯) বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে নেমে পাটগ্রাম থানা পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করলেও এজাহারভুক্ত মূল আসামিকে ঘটনার ছয় দিন পরও গ্রেপ্তার করতে পারিনি।