বুড়িমারী আন্তঃনগর ট্রেনটি গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বুড়িমারী থেকে চালু হলেও পরে ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ঢাকা রোডে চলাচল করে

বুড়িমারী আন্তঃনগর ট্রেনটি গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বুড়িমারী থেকে চালু হলেও পরে ট্রেনটি লালমনিরহাট স্টেশন থেকে ঢাকা রোডে চলাচল করে।এতে লালমনিরহাটের ৪ উপজেলার মানুষ আদিতমারী, কালিগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম উপজেলার মানুষ বৈষম্য শিকার হয়।

এ চার উপজেলা মানুষ বুড়িমারী আন্তঃনগর ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে চলাচলের দাবিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন ।এবং এ সময় রেলের  মহা পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা তাদেরকে বুড়িমারী থেকে ট্রেনটি চলাচলের জন্য আশ্বাস দেন। এবং চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করেন। কিন্তু বারবার তারিখ ঘোষণা করলেও বুড়িমারী আন্তঃনগর ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে ঢাকা রোডে চলাচল করে না। 

রেলের কর্মকর্তাদের বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি এবং প্রতিবার বিভিন্ন তারিখ দিলেও ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে ঢাকা রোডে চলাচল না ‌করার এ চার উপজেলার মানুষ তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত  ( ২১ এপ্রিল ২০২৫ )থেকে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
 এতে করে এ চার উপজেলায় চার জোড়া ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে এ চার উপজেলার মানুষ চলাচলের করা দুর্ভোগ হলেও তারা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছে। 

গতকাল ২৬ এপ্রিল হাতীবান্ধা উপজেলায় আন্তঃনগর ট্রেনটি চলাচলের দাবিতে মশাল মিছিল করেন । এবং রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন । 

আজ( ২৭এপ্রিল ২০২৫) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাতীবান্ধা থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ রয়েছে ।
 
 আজ (২৮ এপ্রিল ২০২৫ ) সোমবার থেকে  অনির্দিষ্টকালের জন্য পাটগ্রাম থেকে লালমনিরহাট পর্যন্ত রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ জনগণ ‌ । এতে  করে বুড়িমারী স্থল বন্দরটি অচল হয়ে পড়েছে।  এতে যেমন ব্যাবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি সরকারি রাজস্ব কমে যাচ্ছে।

 আন্দোলনকারীরা জানান  যতদিন তাদের অধিকার আদায় হবে না ততদিন রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ থাকবে। আন্দোলনকারীরা   আরো বলেন যে আমাদের অধিকার আদায় না হলে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের  সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিবো।