পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় জানতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সারাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির মেধাবী সন্তান বুদ্ধিজীবীদের। ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলো। শহিদ বুদ্ধিজীবীরা বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আজ অনেক দূর এগিয়ে যেত। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ ২১ বছর পিছিয়েছিলো। দেশের জনগণ সেই ২১ বছর মন খুলে কথা বলতে পারেনি।
স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি এখন ক্ষমতায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার হত্যাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করেছেন, তেমনি স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শামসদের বিচার করা হয়েছে। সেদিনের সেই পরাজিত শক্তির দোসররা যেন এদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে মেয়র সকলের প্রতি আহবান জানান। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলমগীর কবির, সরদার মাহাবুবার রহমান ও কেএমপি’র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পুলক কুমার মন্ডল। খুলনা জেলা প্রশাসন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।