দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থল বন্দরসহ অন্যান্য স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থল বন্দরসহ অন্যান্য স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব অজয় ভাদু স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে এসব পণ্য ভারতের নহাভা শেভা সমুদ্র বন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে।
এর আগে ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও কিছু প্রক্রিয়াজাত পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর। তাদের নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হয় ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোন দেশে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি।
স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা জানান, এভাবে একের পর এক পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দরে পণ্যের জোগান কমতে শুরু করেছে । ফলে বন্দর ব্যবহারকারী সকল প্রতিষ্ঠান হতাশায় ভুগছেন।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হত, যার মধ্যে শতাধিক ট্রাকে থাকে তৈরি পোশাক ও ১৫০ গাড়ী পাটজাত পণ্য থাকে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া এমন নিষেধাজ্ঞায় দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
ভারতীয় আমদানি কারক আল-মামুন বলেন, ভারতের অনেক ছোট ছোট আমদানিকারকরা বাংলাদেশ থেকে পার্ট ও পাটজাত দ্রব্য আমদানি করতো। এসব ছোট আমদানিকারকরা সমুদ্রপথে এ পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হবেন। তাছাড়া এই নিষেধাজ্ঞায় ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা আর টিকে থাকতে পারবে-না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজিদুর রহমান জানান, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিকেরও বেশি ট্রাক পাট ও পাটজাত দ্রব্য ভারতে রপ্তানি হয়। ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে স্থলপথে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় অনেক ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়বে। তাছাড়া দুদেশের সম্পর্কেও অবনতি ঘটেছে।