পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, মুহূর্তেই পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে খালি হওয়া শয্যাগুলো, এদের মধ্যে অনেকেই ঠাই নিচ্ছেন বারান্দায়, হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত শয্যা থাকলেও এখন যেন তা নিতান্তই কম। পরিসংখ্যান বলছে, হাসপাতালের নতুন ভবন ও চিকিৎসার মান ভালো হওয়ায় পার্শ্ববর্তী থানা-উপজেলা যেমন রাজাপুর, কাঁঠালিয়া এবং কাউখালী থেকে রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এই হাসপাতালে, সেই সাথে আবহাওয়া তীব্র গরম থাকায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন তারা। উল্লেখ্য, এপ্রিল মাসের শেষের দিকে পার্শ্ববর্তী কাউখালী উপজেলার একই পরিবারের ২৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ১ জন মৃত্যুবরণ করেন, আক্রান্তদের ৬ জন খুলনায় ৩ জন বরিশালে এবং ১৪ জন ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন।

পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম ফরাজী জানান, ২৮ মে সোমবার ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন ও সুস্থ হয়েছেন ১২ জন, গত ৭ দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৪ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৪৬ জন, গত ১ মাসে আক্রান্ত ৩০৭ জন ও সুস্থ ৩২৯ জন, ০১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ২৮ মে সোমবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০৯৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১০৬৩ জন, ডায়রিয়া চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় স্যালাইন, ওষুধ ও চিকিৎসা উপকরণ পর্যাপ্ত থাকায় রোগীদের সেবা দিতে কোন প্রকার সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

এ দিকে, হাসপাতালের ডিসপেনসারি কাউন্টারে প্রতিদিন রোগীদের উপচে পড়া ভিড়ে অসহনীয় ভোগান্তিতে টিকেট ও ঔষধ গ্রহণ করছেন রোগীরা, কেউ বলছেন সকাল ৯ টায় এসে ডাক্তার দেখিয়ে দুপুর ১ টায় হাতে পেয়েছেন ওষুধ, অনেকেই আবার চলে গেছেন চিকিৎসা সেবা না নিয়ে। এ সময়ে ডিসপেনসারিতে কর্তব্যরত মোঃ মামুন হাওলাদার জানান, এখানে ৩ জন জনবল নিয়মিত কাজ করার কথা থাকলেও কাজ করছেন তিনি একা, ১ জন ফার্মাসিস্ট আছেন তবে স্টোর কিপার না থাকায় তিনি সেই দায়িত্ব পালন করছেন এবং অন্য কোঠাটি শূন্য থাকায় প্রতিনিত এই ৩ জনের কাজ তিনি একাই করে আসছেন বলে সঠিক সময়ে সেবা দিতে বার্থ হয়ে থাকেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।