যদিও মসজিদটি অনেক পুরোনো। তবুও এখনও এ মসজিদটি রয়েছে অক্ষত। এখনও দূর দুরান্ত থেকেমুসল্লিগণ নামাজ আদায় করার জন্য আসেন । মসজিদটি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এটি রাজারহাট উপজেলার চাঁন্দামারী মন্ডলপাড়া গ্রামে অবস্থিত।মসজিদটি মোট ৫১ শতাংশ জমির উপর নির্মিত হয়। প্রায় ৪০০ বছর আগে মোঘল আমলে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা।

কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ঐতিহাসিক চাঁন্দামারী মসজিদ। কথিত আছে এ মসজিদটি মোঘল আমলে প্রায় ৪’শ বছর আগে নির্মাণ। মুঘল আমলের স্থাপত্যের নিপুণ কারুকার্যে নির্মিত চাঁন্দামারী জামে মসজিদ।

 যদিও মসজিদটি অনেক পুরোনো। তবুও এখনও এ মসজিদটি রয়েছে অক্ষত। এখনও দূর দুরান্ত থেকেমুসল্লিগণ নামাজ আদায় করার জন্য আসেন । মসজিদটি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা সদর থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অবস্থিত। এটি রাজারহাট উপজেলার চাঁন্দামারী মন্ডলপাড়া গ্রামে অবস্থিত।মসজিদটি মোট ৫১ শতাংশ জমির উপর নির্মিত হয়। প্রায় ৪০০ বছর আগে মোঘল আমলে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা।

তবে ভারতের বাবরী মসজিদ ও বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদের সঙ্গে চাঁন্দামারী মসজিদটির যথেষ্ট সাদৃশ্য রয়েছে। মসজিদটিতে তিনটি গম্বুজ এবং তিন মেহেরার বিশিষ্ট ইট, চুন সুরকী দ্বারা সুনিপুণ কারুকার্যে নির্মিত। মসজিদের অবকাঠামোটির দৈর্ঘ্য ৪৫ ফুট এবং প্রস্থ ২২ফুট। চারদিকে বাউন্ডারি ওয়াল বেষ্টিত এবং ৬০ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন মসজিটি বহুকালের পুরোনো ভবন হওয়ায়পুরনো কারূকাজ অনেকটা নষ্ট হওয়ার পথে। মসজিদটিতে জায়গা সংকুলান না হওয়ার কারণে স্থানীয় মুসল্লিদের চাদার টাকায় সামনে অংশ সম্প্রসারণ করা হয়েছে । বর্তমানে বর্ষাকাল হওয়ায় কিছুটা নামাজ পড়তে সমস্যা হয় মুসল্লিদের। দেয়াল বেয়ে বৃষ্টির পানি জমে যায় মসজিদের ভেতর।

এরপরও এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওই পানিতে কষ্ট করে নামাজ ও এবাদত বন্দেগি করে আসছেন। মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলম মন্ডল বলেন , রাজারহাট উপজেলায় মোঘল আমলে নির্মিত মসজিদগুলোর মধ্যে চান্দামারী মসজিদটি জেলার সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী মসজিদ। এর কিছু কিছু জায়গায় নষ্ট কিংবা ক্ষয়ে গেলেও এখনও এর সৌন্দর্য রয়েছে।এ এলাকায় এখন জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মুসল্লিদের সংখ্যাও অনেকটা বেড়েছে। ফলে গাদাগাদি করে কষ্ট করে সকল মুসল্লিকে নামাজ আদায় করতে হচ্ছে।

অর্থনৈতিক সংকটের কারনেব এ মসজিদটি পুণঃনির্মাণ কিংবা ভালোভাবে সংস্কার করা যাচ্ছে না। তবে এলাকাবাসীর দাবি এতো সুন্দর একটি মসজিদ সংরক্ষণে সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাই সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন মসজিদের স্মৃতি সংরক্ষণে স্থানীয় প্রশাসনসহ জেলা প্রশাসন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহায়তায় অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখতে সংস্কারের উদ্যোগ নিতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।এ ব্যাপারে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব খাদিজা বেগম জানান, উপজেলার চাঁন্দামারী মসজিদটি অত্যন্ত প্রাচীন ও দৃষ্টিনন্দন। এখানে অনেক পুরাকীর্তি ধ্বংস হওয়ার পথে। এগুলো