জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, ‘এই মাসে গম নিয়ে আরও দুটো জাহাজ আসার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৬ মে একই পরিমাণ গম নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসে চট্টগ্রাম বন্দরে।

গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ভারত থেকে ৫২ হাজার ৫০০ টন গম নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে এমভি স্টার নামে জাহাজ।

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে শনিবার এসে ভিড়েছে জাহাজটি।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য এবং চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আবদুল কাদের।

এর আগে গত ১৪ মে অভ্যন্তরীণ মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে গম রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত সংস্থা ডিজিএফটি এ ঘোষণা দেয়।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ ঘোষণার আগে লেটার অফ ক্রেডিট (এলওসি) ইস্যু হয়েছে এমন সব রপ্তানি চালান সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠানো যাবে। এর বাইরে কোনো দেশের অনুরোধে গম রপ্তানি করা যাবে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণ নেই বলে জানিয়েছে দেশটি।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের ঢাকা দূতাবাস জানিয়েছে, সম্প্রতি ভারত থেকে গম রপ্তানিতে দেয়া নয়াদিল্লির নিষেধাজ্ঞা প্রতিবেশীদের জন্য নয়।

এই চালান আসায় দেশের অস্থির গমের বাজারে কিছুটা স্বস্তি নেমেছে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, ‘সোমবার থেকে লাইটারেজ জাহাজের মাধ্যমে এসব গম পতেঙ্গায় সাইলো জেটিতে খালাস করা শুরু হবে। ইতোমধ্যে গমের মান যাচাইসহ নমুনা সংগ্রহের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরপর এসব গম দেশের বিভিন্ন সরকারি খাদ্য গুদামে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

‘এই মাসে গম নিয়ে আরও দুটো জাহাজ আসার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৬ মে একই পরিমাণ গম নিয়ে আরেকটি জাহাজ আসে চট্টগ্রাম বন্দরে।’

সরকারি ব্যবস্থাপনায় গম আসায় বাজারে এর দাম কমেছে। গত সপ্তাহে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে মণপ্রতি গম বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৫৫০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে গমের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।

চট্টগ্রামের অন্যতম ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক বিএসএম গ্রুপের চেয়ারম্যান আবুল বশর চৌধুরী বলেন, ‘সরকারিভাবে আমদানি করা গমভর্তি জাহাজ আসার খবরে বাজারে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। পাশাপাশি সরকারের উচিত আমাদের মতো যেসব প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে গম আনার বিষয়ে চুক্তি করেছে তা দেশে আনার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানো। তাহলেই গমের বাজার স্থিতিশীল থাকবে।’

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে গত ১ জুলাই থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৫৫ লাখ ৪৬ হাজার টন গম দেশে এসেছে।