টানা বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়ার কারনে বেনাপোল পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম সহ স্থল বন্দর ও কাস্টমস হাউস পানিতে প্লাবিত। গত কয়েকদিন যাবত এ বৃষ্টিপাতে পৌরবাসির অনেক এলাকায় ঘরের মধ্যে পানি এবং বেনাপোলের প্রান্ কেনদ্র কাস্টমস হাউস এর মধ্যে হাটু পানি সেই সাথে স্থল বন্দরের কয়েকটি শেডে পানি জমে পণ্য উঠানামা করতে পারছে না ।
মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে পৌরসভার দিঘিরপাড়, বড়আঁচড়া, ভবেরবেড় এবং কাস্টমস হাউস ও স্থল বন্দরের ৯,১২,১৫,১৬,১৭ ও ১৮ নম্বার শেডে পানি উঠেছে। কাস্টমস হাউসে সেলো মেশিন লাগিয়ে পানি নিস্কাশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দিঘিরপাড় গ্রামের চায়না বেগম জানান তারা আজ প্রায় এক সপ্তাহ যাবত পানিতে গৃহবন্দী। ঘর থেকে নেমে বাহিরে যেতে না পারায় ছেলে মেয়েরা স্কুলে ও তাদের রান্না খাওয়া বন্ধের উপক্রম হয়েছে। বিষয়টি বেনাপোল পৌরসভাকে অবহিত করলে ও পানি নিস্কাশন এর কোন ব্যবস্থা এখনও নেয়নি।
দিঘিরপাড় গ্রামের সিএন্ড এফ ব্যবসায়ি ও স্থানীয় বিএনপি কর্মী সাইফুল ইসলাম আসাদ বলেন, প্রতিবছর বর্ষ মৌসুমে এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এখানকার সকল বাড়ি ঘরের ট্যাক্স পানির বিল সহ অন্যান্য সবকিছু পৌরকর্তৃপক্ষ নিলেও পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্কুল কলেজগামি ছেলে মেয়ে সহ চাকুরীজিবী ব্যবসায়ি সকলে জলাবদ্দতার কারনে আছে চরম বিপাকে। বিষয়টি বেনাপোল পৌর প্রশাসক শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী নাজীফ হাসানকে অবহিত করা হয়েছে।
বেনাপোল পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর রাশেদ আলী বলেন আমি নিজেও এ্ই জলাবদ্ধতার মধ্যে আটকে আছি। আমি পৌরসভার কাউন্সিলার থাকার সময় কয়েকবার এখানে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করতে গেলেও করতে পারিনি। একটি পরিবার বার বার এ কাজে বাধা দিয়েছে। ওই পরিবারের সামান্য একটু জায়গার উপর দিয়ে ড্রেন হবে তার জন্য সে ১৪৪ ধারা জারী করে কাজ বন্ধ রেখেছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউস এর সহকারী কমিশনার আবু সালেহ নুর বলেন,টানা বৃষ্টির কারনে হাউসে পানি জমে আবাসিক এর নীচতলার অনেক রুমে প্রবেশ করেছে। মসজিদ থেকে প্রধান সড়কে উঠতে হাটু পানির উপরে পানি জমা হয়েছে। আসলে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা সঠিক ভাবে না থানায় এ জলাবদ্ধতার মুল কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
বেনাপোল স্থল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার বলেন, স্থায়ী ভাবে এ পানি সমস্যার সমাধান করতে সময় লাগবে দুই বছর। এখানে আবার পরিকল্পনা করে ড্রেন নির্মান করে পানি নিস্কাশন এর ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য অর্থ বরাদ্দ লাগবে। আপাতত এ ভাবে যতটুকু সেলো মেশিন দিয়ে সেসে পানি নিস্কাশন যতটুকু করা যায।
এদিকে গত ৯ জুলাই পানি নিস্কাশনের জন্য বেনাপোলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ৬ সদস্যর কমিটি তৈরী করলে ও কোন কাজ হয়নি। এই কমিটির স্পষ্ট বক্তব্য জলাবদ্ধতা নিরসন করতে গেলে দীর্ঘ সময় এর প্রয়োজন। এটা এখন কিছু করা সম্ভব না।