গত অক্টোবর মাসে “বনায়ন ছাড়াই অর্থ লোপাট” শিরোনামে তৎকালীন কাদিগড় বিট অফিসার আনোয়ার হোসেন ও ভালুকা রেঞ্জ অফিসের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার হারুন অর রশীদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রচারিত হয়। এ বিষয়ে তদন্তের পর গত ১৩ আগস্ট হবিরবাড়ি বিট অফিসার আনোয়ার হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বনবিভাগ।
কিন্তু বরখাস্তের পর প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে আগের তারিখ ব্যবহার করে ১ থেকে ১১ আগস্টের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ও হারুন অর রশীদ ভালুকায় কর্মরত সাংবাদিক—দৈনিক যুগান্তরের জহিরুল ইসলাম জুয়েল, নয়া দিগন্তের আসাদুজ্জামান ফজলু, মানবকণ্ঠের শফিকুল ইসলাম সবুজ ও গ্লোবাল টিভির শাহিদুজ্জামান সবুজের বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা দায়ের করেন।
এ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে জহিরুল ইসলাম জুয়েলের সঞ্চালনায় এবং ইনকিলাবের সাংবাদিক কামরুল হাসান কামালের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—মোহনা টিভির সাংবাদিক এসএম শাহজাহান সেলিম, সময়ের আলোর ফিরোজ খান, কালের কণ্ঠের মোখলেছুর রহমান মনির, দৈনিক সংবাদের আতাউর রহমান তরফদার, এনটিভির আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশ বুলেটিনের আক্কাছ আলী, ভোরের ডাকের শাহ আকরাম হোসেন, গ্লোবাল টিভির শাহিদুজ্জামান সবুজ, সকালের সময়ের এমএ সবুর, আরটিভির আল আমীন, মাইটিভির মর্জিনা খাতুন মনি, এশিয়ান টিভির লিমা আক্তার, দৈনিক সবুজ বাংলার সাদেকুর রহমান সোহাগ এবং দৈনিক ভোরের আকাশের হাবিবুর রহমান তরফদার।
বক্তারা বলেন, সঠিক তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেছেন। অথচ দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এসব হয়রানিমূলক মামলা করা হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, এ ধরনের মামলা আসলে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা। দুর্নীতিবাজরা বারবার সাংবাদিকদের স্তব্ধ করার চেষ্টা করলেও কখনো সফল হয়নি। বক্তারা মামলার দ্রুত প্রত্যাহার এবং সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির দাবি জানান।