নেত্রকোনার মদনে রাতে ঘড় থেকে ডেকে নিয়ে কলেজ ছাত্র কিশোর মিয়াকে (২৬) হত্যা চেষ্টা করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে

নেত্রকোনার মদনে রাতে ঘড় থেকে ডেকে নিয়ে কলেজ ছাত্র কিশোর মিয়াকে (২৬) হত্যা চেষ্টা করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরের বাবা নুরু মিয়া এ ব্যাপারে  ৫ মে মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ে করেন।  
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,  উপজেলার কদমশ্রী গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে কিশোর মিয়া নেত্রকোনা সরকারি কলেজের মাস্টার্সে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী। একই গ্রামের হাজী আব্দুল কাদিরের ছেলে আরিফ মিয়ার সাথে গত কয়েক দিন আগে কিশোর মিয়ার সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আরিফ কিশোরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এর প্রেক্ষিতে ৫ মে রাত আনুমানিক ৯ঘটিকার সময় কিশোরকে পূর্ব পরিকল্পিভাবে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে কদমশ্রীর দুর্লভপুর হাওরে নিয়ে যায় মজিদ মিয়া,আরিফ মিয়া,নূর আলম,ওলিউল্লাহ,নয়ন মিয়া,মাহিনূর,নূরুজ্জামান। সেখানে নিয়ে কিশোরকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলে। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালাগালি, কিল ঘুষি ও মারধর করতে থাকে।  এক পর্যায়ে নুর আলমের সাথে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে আঘাত করতে চাইলে কিশোর ডাক চিৎকার শুরু করে। এমন চিৎকার শুনে হাওরে থাকা আব্দুল আমিন ও আনোয়ার হোসেন এগিয়ে গেলে তারা ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় কিশোরকে উদ্ধার করে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসে। কিশোরের সাথে থাকা একটি মোবাইল ও ধান কাটা মেশিনের উত্তোলনকৃত দেড় লাখ টাকা ও তারা নিয়ে নেয়।  কিশোর বর্তমানে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায়  থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে  এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে (৭ মে বুধবার) গ্রামের বাড়ি কদমশ্রী গেলে অভিযুক্তদের কাউকে পাওয়া যায়নি। কয়েকজন নারীকে উপস্থিত পাওয়া যায়। তাদের ব্যবহৃত কয়েকটি মোবাইলে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
 এ ব্যাপারে ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, মদন থানা পুলিশ প্রকৃত রহস্য উৎঘাটনের জন্য তদন্ত করিতেছে। এ ব্যাপারে আজ ঘটনা স্থলে পুলিশ প্রেরণ করতেছি। এমন ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।