লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে করা মামলায় ফয়েজ উল্যাহ জিসান পাটোয়ারী নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৯ আগস্ট রোজ সোমবার দুপুরে তাকে লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার জিসান রামগঞ্জ উপজেলার লামচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।পুলিশ সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার, ১৮ই আগস্ট লামচর ইউনিয়নের বেড়ি বাজার এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় ঘেরাও করে স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে। পরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
পরে একইদিনের সন্ধ্যায় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম মজুমদার বাদী হয়ে মনোনয়ন পত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ তাকে প্রদান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। উক্ত মামলায় আরো অন্তত অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামি করা হয়। এলাকাবাসী জানান, ছাত্র জনতার আন্দোলনে মুখে আওয়ামী সরকারের পতন হলে তিনি ঢাকায় আত্নগোপনে ছিলেন। পরিবেশ শান্ত হওয়ায় রবিবার ঢাকা ফিরে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে যান। বিষয়টি জনসাধারণ জানতে পেরে ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও করে চেয়ারম্যানকে আটক করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে রামগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
মামলার এজহারের সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের পৌরসভার নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন ইব্রাহিম। কিন্ত অভিযুক্ত জিসান মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করতে চাপ প্রয়োগ করেন। তাকে মারধর করেন। এবং ইব্রাহিমের বাড়ি ঘর ভাঙ্গচুর করেন। এক পযার্য়ে মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিন পত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে যান।এতে ইব্রাহিম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইব্রাহিম বলেন, জিসান চেয়ারম্যানসহ অভিযুক্তদের কারণে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি নাই।এখন তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। আশাকরি, দ্রুত সময়ের মধ্যে খন্য আসামীরাও গ্রেফতার হবে।এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, আটকের পর চেয়ারম্যান জিসানের বিরুদ্ধে মনোনয়ন পত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগ মামলা হয়েছে। একই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালত পাঠানো হয়। আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।