জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা রাষ্ট্রকেই দিতে হবে, মব সন্ত্রাস ও নারী ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধ করা, জলাবদ্ধতা যানজট নিরসন করা, মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিতে আজ ১৩ জুলাই ২০২৫ সকাল ১১টায় চৌরঙ্গী মোড়ে মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে গণকমিটি মাগুরা জেলার উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণকমিটির আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য প্রদান করেন, গণকমিটি মাগুরা জেলার সদস্য কাজী জান্নাতুন নূর ও বাসারুল হায়দার বাচ্চু। 

সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, গত পরশুদিন ১১ জুলাই মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে পাথর মেরে ও কুপিয়ে ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ী সোহাগকে যুবদলের সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনা, খুলনায় নিজ বাড়ির সামনে যুবদল নেতা মাহবুবকে গুলি করে এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা এবং চাঁদপুরে ইসলামি বয়ানে মতের অমিল হওয়ায় মসজিদের ইমামকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনা গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার বিষয়। 
নেতৃবৃন্দ দ্রুততম সময়ে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। একইসাথে সারাদেশে মব-সন্ত্রাস, নারী ধর্ষণ-নির্যাতন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান । 

নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ছয় মাসে ৪৮১ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, আর ৩২০ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া গত দশ মাসে মব সৃষ্টি করে হুজুগ তুলে প্রায় ১৭২ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে বলে পত্র পত্রিকায় এসেছে। সরকার এসকল ঘটনায় কোন তড়িৎ আইনি পদক্ষেপ তো নিচ্ছেই না বরং মবকে নরমালাইজ করে প্রেশার গ্রুপ বলে আখ্যা দিচ্ছে যার ফলে এ ধরনের নির্মম ঘটনা নানাভাবে জাস্টিফাই হচ্ছে এবং মব উৎসাহিত হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় এখন রাজনৈতিক কোন্দলে, চাঁদার ভাগ বাটোয়ারায় এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নানা রকম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ও সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসছে। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, চাঁদাবাজ, দখলবাজ বলে সরকার এসব ঘটনার দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। অথচ সরকার বারবার অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে নিজের ব্যর্থতা আড়াল করছে। দেশের শাসন, প্রশাসন এভাবে চলতে পারে না। 

নেতৃবৃন্দ মাগুরায় জলাবদ্ধতা-যানজট নিরসনে ও মশার উপদ্রব দূর করতে পৌর কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।