সোমবার (১৮ আগস্ট) ময়মনসিংহে নানা আয়োজনে এই উপলক্ষ্যে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন পুকুরে পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলা পরিষদ মিলনায়তন পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালি শেষে ময়মনসিংহে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে জেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদ।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, 'মাছে-ভাতে বাঙালি' উপমাটি বাঙালি জাতিসত্তার অভিন্ন অনুষঙ্গ। প্রাচীনকাল থেকেই এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্যাভ্যাসের প্রধান উপাদান মাছ। মাছ স্বাস্থ্যগতভাবে সবচেয়ে নিরাপদ খাবারগুলোর মধ্যে একটি। মাছের চর্বি শরীরের জন্য নিরাপদ। দেশের মৎস্যচাহিদার প্রায় ৬০% চাষকৃত মাছ পূরণ করছে। দেখা গেছে, মাছের খাবারের সাথে ধাতব উপাদান পাওয়া যাচ্ছে, যা মানবশরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। মাছকে দেয়া খাবারের তালিকা থেকে এ ধরনের বিষাক্ত উপাদান বর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগে প্রায় দুই লাখের উপর মৎস্যচাষী আছে। এই বিভাগে মৎস্যচাষ এবং মাছচাষীদের প্রবৃদ্ধি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ময়মনসিংহে চাষকৃত মাছকে দেশের পাশাপাশি কিভাবে বিদেশে রপ্তানি করা যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কেবল মৎস্য সপ্তাহকে ঘিরে নয়, মৎস্যসম্পদকে রক্ষায় সারাবছরই পদক্ষেপ থাকতে হবে এবং মাছের জন্য আরও অভয়াশ্রম সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন অতি. পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ফাল্গুনী নন্দী, মৎস্য অধিদপ্তর ময়মনসিংহের পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ময়মনসিংহের মৎস্যচাষি, মৎস্য ব্যবসায়ী, আড়ৎদার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, জুলাই যোদ্ধা, শহিদ পিতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মৎস্যচাষীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।