মাদারীপুরে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বজনরা ওই গৃহবধূর স্বামীর বসতঘরে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তিনটি বসতঘর ও একটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। গতকাল রাতে সদর উপজেলার এওজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দুই বছর আগে দুধখালি ইউনিয়নের ছোবাহান কবিরাজের মেয়ে লিয়া মনির সঙ্গে একই ইউনিয়নের এওজ এলাকার কালাম সরদারের ছেলে মাসুদ সরদারের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতেই মাসুদ ও তার পরিবারের লোকজন সঙ্গে পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে জগড়া বিবাধ লেগেই ছিল।
এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা পারিবারিকভাবে শালিস-বৈঠকও হয়। এরই জের ধরে লিয়ামনির সাথে তার স্বামীর বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় মাসুদ সরদার তার ঘর থেকে বাহিরে চলে গেলে স্বামীর ওপর রাগ করে তার স্ত্রী লিয়ামনি গলায় ওড়না প্যাচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে স্থানীয়রা জানায়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লিয়ামনির লাশটি ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এরপরেই লিয়ামনির বাবার বাড়ির স্বজনরা এসে মাসুদের বসতঘরসহ আশেপাশের তিনটি ঘরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ভাঙচুর চালায়।
এ সময় মাসুদের বাবা কালাম সরদারের মুদি দোকনেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ সম্পর্কে দুধখালি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক খান বলেন, ‘লিয়া মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি লিয়ার বাবার বাড়ির লোকজন জড়ো হয়ে মাসুদের ঘরে ভাঙচুর চালাচ্ছে। আমি ওদের বারণ করার পরেও তারা আমার কথা শোনে নাই। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করছি, ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু বিষয়টি তার বাবার বাড়ির লোকজন বুঝতে চাইছে না। তারা উত্তেজিত হয়ে লিয়ার স্বামীর বসতঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।