লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নুরুল হোসাইন চৌধুরী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করার তথ্যর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নুরুল হোসাইন চৌধুরী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক বিভিন্ন  সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করার তথ্যর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে। 

আজ মঙ্গলবার ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে লামা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হোসাইন চৌধুরী বলেন, 'ডাকাতির মহিষ চেয়ারম্যানের বাড়িতে' শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকাসহ সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতে ষড়যন্ত্রকারী একটি মহল আমার পারিবারিক রাজনৈতি ঐতিহ্য, সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মিথ্যা কাল্পনিক, মানহানিকর ও মনগড়া তথ্যটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। উক্ত সংবাদের মনগড়া বর্ণনায় আমাকে ও আমার  পরিবার সন্তানাদিকে হেয় করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে আসল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, "৯ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে আমার সন্তান ভাগিনাসহ তিনজন মিলে মৎস্য প্রজেক্ট থেকে মোটর সাইকেল করে খামারে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের বাইকের আলো দেখে ডুলহাজারা উলবুনিয়া ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিমদিকে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি একটি মহিষ রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার তাৎক্ষনিকতায় কিছু বুঝে উঠতে না পেরে মহিষটিকে নিরাপদ স্থান, আমার গরুর গোয়ালে বেঁধে রেখে তারা পূনরায় প্রজেক্টে চলে যায়। গভীর রাত হওয়ায় এই বিষয়টি বাড়ির অন্যদেরকে জানাতে পারেন নাই ছেলেরা। পরদিন (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জানতে পেরে সাথে সাথে আমি চকরিয়া থানাকে অবহিত করি, এর পরপরই পুলিশ এসে মহিষটি নিয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান নুরুল হোসাইন আরো বলেন, "সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো সমাজের মানুষের সম্মান হানির একটি বড় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে; যা অত্যান্ত দু:খজনক। কিন্তু পত্রিকার সাংবাদিকরা নিরপেক্ষতা বজায় রেখে প্রাপ্ত কোনো তথ্যের প্রকৃত ঘটনা সরেজমিন জানাটা অপরিহার্য।" তিনি মনগড়া মিথ্যা তথ্য রটনাকারীদের এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানান।