এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ২০০ এর অধিক শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মিঠাপুকুর উপজেলা শাখা। রবিবার (১০ আগস্ট) মিঠাপুকুর উপজেলায় বেগম রোকেয়া অডিটোরিয়াম হলে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রশিবির এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিঠাপুকুর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান,মিঠাপুকুর মহাবিদ্যালয় এর গণিত বিভাগের অধ্যাপক,আগামী জাতীয় নির্বাচনে মিঠাপুকুর আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মজলুম জননেতা অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, আমির,বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী রংপুর জেলা শাখা। প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিল আসাদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিঠাপুকুরের মাটি ও মানুষের নেতা, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, মাওলানা এনামুল হক, সেক্রেটারি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রংপুর জেলা শাখা।
আরো উপস্থিত ছিলেন,মিঠাপুকুর উপজেলার যুবকদের আইকন, আসাদুজ্জামান শিমুল, আমির, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী মিঠাপুকুর উপজেলা শাখা,ফিরোজ মাহমুদ সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির রংপুর জেলা শাখা,হাফেজ গোলাম রব্বানী সভাপতি,যুব বিভাগ মিঠাপুকুর উপজেলা শাখা।শাহ মোঃ হাফিজুর রহমান ফকির, সেক্রেটারি ১৪ নং দূর্গাপুর ইউনিয়ন শাখা সহ ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল বৃন্দ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতি তো করেন, সিগবাতুল্লাহ সজীব,সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মিঠাপুকুর প্রোপার শাখা। সার্বিক তত্ত্বাবধানে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, মিঠাপুকুর প্রোপার শাখা।
বক্তাগণ বলেন, সৎ দক্ষ আদর্শ দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির জন্য মেধাবীদের মূল্যায়নের বিকল্প নেই। যে জাতি মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে পারে না, সে জাতি কখনো সামনে অগ্রসর হতে পারে না। মেধাবীরাই জাতির প্রেরণার উৎস।শিক্ষাব্যবস্থাটি এমনভাবে গঠন করা হয়েছে, যাতে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় একটি মহল আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উপস্থিত বক্তারা আরো বলেন, এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তারা বলেন, ২৪শের আন্দোলনে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশ থেকে স্বৈরাচার বিদায় করেছ, তেমনিভাবে শিক্ষাব্যবস্থাসহ সকল বিভাগ থেকে আধিপত্যবাদীদের বিদায় করতে তোমাদের সচেতন থাকতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে মেধাবীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। আদর্শবান ও সৎ মানুষ হিসেবে দেশ ও জাতিকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
মেধাবীদের ভালো রেজাল্ট করার পেছনে তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকরা বিশেষ অবদান রেখেছেন। অভিভাবক ও শিক্ষক সমাজকে শুধু ভালো রেজাল্ট নয়, ছাত্রদের নৈতিক দিক থেকেও গড়ে তুলতে হবে।