মির্জাগঞ্জে সরকারি খালের জমি অবৈধভাবে দখল করে ভরাট করার কাজ চলছিল এমন খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্ময় হালদার দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে অবৈধভাবে ভরাট করা খাল অবমুক্ত করেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সুবিদখালী সদরের দেউলী সুবিদখালী ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ির রাস্তার প্রবেশ মুখে বাকেরগঞ্জ- বরগুনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে নাপিতখালী খালের শেষ অংশে বেকু দিয়ে খাল ভরাটের কাজ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, এভাবে প্রতিনিয়ত খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করছে একটি চক্র। সরকারি খালের জমি ভরাট করলে পানি চলাচলের জায়গা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে একদিকে এই চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী খালটি বিলুপ্তর দিকে আরো একটু এগিয়ে যাবে। অন্যদিকে মালিকানা জমির মাটি খননের ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে দিন দিন। যার কারণে ওই জমিতে ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বৃষ্টির সময়ে পানিতে আমাদের বাড়ি-ঘর জলাবদ্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তারা যেন এধরনের কাজ না করতে পারে। সেজন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তন্ময় হালদার বলেন, সরকারি খাল দখলের খবর পেয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নাপিতখালী খালের ভরাট কৃত অংশটি অবমুক্ত করা হয়। এ অভিযান পরিচালনার সময় সাংবাদিক ও উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।